Mukesh Ambani Salary : ভারতের তো বটেই, এশিয়ার শ্রেষ্ঠ শিল্পপতিদের মধ্যে একজন হলেন মুকেশ অম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর নাম শোনেননি এমন মানুষ গোটা দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারণ এমন মানুষ সারা পৃথিবীতে খুব কমই আছে। আর তাঁর নাম শুনলেই সবার প্রথমে যে কথাটা মাথায় আসবে তা হল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ (Net Worth)। কিন্তু অনেকেই জানেন না, শুধু ধনসম্পত্তির নিরিখেই নয়, মনের দিক থেকেও মুকেশ অম্বানি অত্যন্ত ধনী একজন মানুষ। শুনলে অবাক হবেন, গত ৩ বছরে রিল্যায়েন্স (Reliance) সংস্থা থেকে এক পয়সা বেতন (Salary) নেননি তিনি।
১৯৭৭ সাল থেকে রিল্যায়েন্স সংস্থার ‘বোর্ড অফ ডিরেক্টরস’র অংশ মুকেশ। ২০০২ সালে রিল্যায়েন্স প্রতিষ্ঠাতা তথা মুকেশের পিতা ধীরুভাই অম্বানির (Dhirubhai Ambani) মৃত্যু হয়। এরপর মুকেশ এই সংস্থার চেয়ারম্যান হন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৯ সাল পর্যন্ত রিল্যায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের আসনে আসীন থাকবেন তিনি।
মুকেশ অম্বানির বেতন কত?
২০১৯-২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রিল্যায়েন্স গোষ্ঠীর বাকি সকল কর্মচারীর মতো বেতন নিয়েছেন মুকেশ। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত বার্ষিক বেতন হিসেবে রিল্যায়েন্স গোষ্ঠীর থেকে ১৫ কোটি টাকা করে নিতেন মুকেশ। তবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে আর এক পয়সাও বেতন নেননি তিনি!
আরও পড়ুনঃ ১০০০ কোটি তুলে কাঁপাবে বক্স অফিস! রজনীকান্তের সিনেমা রিলিজ হতেই ঘটি ঘোষণা শহর জুড়ে
কেন ৩ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন না মুকেশ অম্বানি?
গত তিন বছর ধরে বেতনের পাশাপাশি রিল্যায়েন্স থেকে কোনও প্রকার কমিশন, ভাতা অথবা অন্য কোনও সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন না। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কোভিডের কারণে স্বেচ্ছায় বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুকেশ। কারণ তখন ছোট বড় বহু ব্যবসার মতো রিল্যায়েন্স সংস্থাও কোভিডের কারণে আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই কারণে কর্মীদের ওপর যাতে কোনও প্রকার আঁচ না আসে সেই জন্য নিজে বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুকেশ।
কতদিন বেতন নেবেন না রিল্যায়েন্স কর্তা?
শোনা যায়, মুকেশ অম্বানি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত রিল্যায়েন্স গোষ্ঠী কোভিডের কারণে হওয়া আর্থিক ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে না, ততদিন অবধি এক টাকাও বেতন নেবেন না তিনি। একটি ব্যবসায়িক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই মুহূর্তে মুকেশ অম্বানি প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার মালিক। সেদিক থেকে দেখলে ১৫ কোটি টাকা বেতন না নিলেও রিল্যায়েন্স কর্তার অর্থাভাব হবে না। তবে তা সত্ত্বেও নিজের সংস্থার অন্যান্য কর্মীদের কথা ভেবে তিনি যে ত্যাগ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।