General Knowledge: এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মশারি ছাড়া ঘুমোতে পারেন না। এর একটা কারণ যদি মশার (Mosquito) কামড় থেকে বাঁচা হয়, দ্বিতীয়টি অবশ্য মশার ‘গান শোনা’ আটকানো। আর কোনোদিন মশারি টাঙাতে ভুলে গেলেই হয় চরম সর্বনাশ! সেই রাতে ঠিক কানের (Ear) সামনে এসে গুনগুন করে গান শুনিয়ে যায় মশা। ঘরে একাধিক জায়গা থাকতেও ঠিক কানের কাছে এসেই গান করতে হয় তাদের।
একথা হয়তো আপনিও মানবেন, মশার কামড় খাওয়ার থেকে অনেক বেশি বিরক্তিকর হল মশার গান (Hum) শোনা। রাতের অন্ধকারে হাত-পা চালিয়ে অধিকাংশ সময়েই মশা মারা যায় না। যে কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুনে যেতে হয় তাদের গান। তবে আপনি কি জানেন, সারা শরীর ছেড়ে শুধুমাত্র কানের কাছেই কেন গুনগুন করে মশা? আজকের প্রতিবেদনে সেই তথ্যই তুলে ধরা হল।
কমবেশি আমরা প্রত্যেকে জানি, পুরুষ মশা আমাদের কামড়ায় না। আমাদের দেহে সাধারণত বিশেষ প্রজাতির স্ত্রী মশাই কামড়ায়। তবে পুরুষ এবং স্ত্রী দুই প্রজাতির মশাই কিন্তু কানের কাছে গুনগুন করে। এর পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ।
আরও পড়ুনঃ ‘কে নন্দিনী চিনি না!’ স্মার্ট দিদির নাম শুনতেই চটে লাল বিক্রেতা, ফাঁস হতেই ভাইরাল ভিডিও
বিশেষজ্ঞদের কথায়, মানুষের দেহ থেকে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় সেটার গন্ধেই আকৃষ্ট হয় মশারা। আমাদের কানের কাছে একটি বিশেষ দুর্গন্ধও পাওয়া যায়। আমরা সেটা বুঝতে না পারলেও মশারা ঠিক পেয়ে যায়। সেই গন্ধের টানেই কানের কাছে চলে আসে তারা।
আরও পড়ুনঃ জন্মের ৩ দিন পরেই হামাগুড়ি, বলছে কথাও! সদ্যজাতের অবাক কান্ড ভাইরাল নেটদুনিয়ায়
যে মুহূর্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের গন্ধ পায়, সেই মুহূর্তে মশা আকৃষ্ট হয় আমাদের কাছে চলে আসে। কানের কাছে উড়তে থাকে বলে আমরা গুনগুন শব্দ পাই। অনেকেই হয়তো জানে না, একটি মশা প্রত্যেক সেকেন্ডে প্রায় ৫০০ বার ডানা ঝাপটায়। এত বেশিবার ডানা ঝাপটানোর কারণে একটি শব্দের সৃষ্টি হয়। আর সেই শব্দই আমরা শুনতে পাই।