Skin Care tips to Get Glowing Skin: কাজের জন্য এখনকার রোজকার দৌড়-ঝাঁপের জীবনে রাস্তাঘাটে বেরোলে রাস্তার ধুলোবালি আর সূর্যরশ্মির প্রভাবে মুখে হামেশাই নানা ধরনের কালো দাগ-ছোপ তৈরী হয়। এছাড়া মেচেতার মত সমস্যাও নতুন নয়। তাই এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সকলেই নিয়মিত ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজার চলছে এই ধরনের ক্রিম কিংবা প্রসাধনীতে রাসায়নিক দ্রব্য থাকে। যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে আদতে ত্বকেরই ক্ষতি হয়।
অনেকে আবার নামিদামি সালোঁয় গিয়ে বিভিন্ন রকমের চিকিৎসাও করান। যদিও এই সব কিছুরই রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাই ত্বকের এই ধরনের কালো দাগ ছোপ দূর করতে করতে আজও অনেকে ভরসা করেন আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন উপাদানের ওপর। তাই রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে প্রথম থেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তার আগে জানতে হবে কি কি কারনে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়?
কি কি কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়?
১) রোদের তীব্রতা: খুব স্বাভাবিক কারণেই এক এক জনের গায়ের রং এক এক রকম হয়। তবে যাঁদের ত্বকে মেলানিন কম থাকে তাঁদের ত্বক রোদে বেশী পোড়ে।
২) শারীরিক জটিলতা: ডায়াবিটিসের মতো সমস্যায় ভুগলে ত্বকে ‘মেলানিন’ উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে। এছা়ড়া হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্ন ঘটলেও ত্বকে কালচে দাগ পড়ে।
আরও পড়ুনঃ যেতে হবে না পার্লারে, বাড়িতে এভাবে স্ক্রাব ব্যবহার করলে পুজোর আগেই মিলবে সূর্যের মত জেল্লা!
৩) জলের ঘাটতি: শুষ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে কালো দাগ-ছোপ বেশী হয়। মূলত শরীরে জলের অভাবেই ত্বক আর্দ্রতা হারায়। তাই প্রথম থেকেই ত্বককে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন।
কি ধরণের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে?
১) হলুদের প্যাক: একটি পাত্রে আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ দই, এবং ১ চামচ বেসন মিশিয়ে খুব স্মুথ একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর এই পেস্ট মুখে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ৩ দিনে পাবেন হলুদ ছোপ ছাড়া ঝলমলে হাসি! রইল পুজোর আগে দাঁত পরিষ্কারের সেরা উপায়
২) টম্যাটো বাটা: সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকেই ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই মুখের দাগ দূর করতে প্রতিদিন স্নানের ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে টম্যাটোর রস মুখে মেখে নিতে হবে। তাতেই মুখের দাগ দূর হবে নিমেষে।
৩) মুসুর ডালের প্যাক: মুখের কালো দাগছোপ আর ব্রণ দূর করতে মুসুর ডালের প্যাক অব্যর্থ। তাই প্রতিদিন স্নানের আগে সামান্য পরিমাণ মুসুর ডাল বাটা মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।