দূরদর্শনের (Doordarshan) মহালয়া আজও অনেক বাঙালির কাছে আবেগ। সেই জন্য প্রত্যেক বছর মহালয়া (Mahalaya) এলেই প্রথম দুর্গা, প্রথম মহিষাসুরকে মনে করে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন অনেকে। লাইমলাইট থেকে দূরে তাঁরা কীভাবে দিনযাপন করছেন সেই প্রশ্নও উঁকি দেয় অনেকের মনে। আজকের প্রতিবেদনে সেই তথ্যই তুলে ধরা হল। কোথায় হারিয়ে গেলেন দূরদর্শনের প্রথম মহিষাসুর (Mahishasur)? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
একটা সময় মহিষাসুর এবং যমরাজ সেজে টেলিভিশনের পর্দা কাঁপাতেন অভিনেতা অমল চৌধুরী (Amal Chowdhury)। অভিনেতার বড় বড় চোখ আর পাকানো গোঁফ দেখে ভয় পেয়ে যেত অনেক শিশু। মহিষাসুরের চরিত্রে অভিনয় করে ‘অমল অসুর’ (Amal Asur) নামেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই অভিনেতাই আর্থিক দুরবস্থার কারণে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন।
অশোকনগর নিবাসী অমল চৌধুরী ছিলেন দূরদর্শনের প্রথম মহিষাসুর। বেশ কয়েক বছর এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। শেষমেষ তাঁর নামের পাশেই জুড়ে যায় ‘অসুর’ তকমা! শোনা যায়, অমলকে প্রথম দেখেছিলেন দু’জন টেকনিশিয়ান। এরপরেই মহিষাসুরের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি।
আরও পড়ুনঃ বুকে কোমরে ঝুলছে মদের বোতল! নন্দিনী দির দোকানে গিয়ে একি কান্ড স্যান্ডির? নিজেই দেখুন ভিডিও
অমল চৌধুরী এমন একজন অভিনেতা যিনি শুধুমাত্র মহিষাসুর এবং যমরাজের চরিত্রেই নয়, আরও বহু স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইন্ডাস্ট্রির একাধিক খ্যাতনামা পরিচালক এবং তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তবে আজ সেই অভিনেতারই জায়গা নেই ইন্ডাস্ট্রিতে। এত গুণী শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাঁর।
অবিবাহিত অমল চৌধুরীর বাড়িতে তিনি এবং তাঁর ছোট বোন থাকেন। একটি নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, অভিনেতার আত্মীয় স্বজনরা তাঁর খোঁজ নেয় না। সিনেদুনিয়া থেকেও কোনও কাজের অফার আসে না। পেট চালাতে তাই আঁকা শেখান অমলবাবু।
একসময় তুখোড় অভিনয়ের কারণে অমল চৌধুরীর কদর ছিল সর্বত্র। তবে আজ সেই মানুষটার জীবনেই অভিনয়ের কোনও স্থান নেই। সুদিন যেতেই তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সবাই। শুধু ছেড়ে যায়নি তাঁর সেই বড় বড় চোখ আর পাকানো দাঁড়ি। দূরদর্শনের প্রথম মহিষাসুরের জন্য ফের ইন্ডাস্ট্রির দরজা খোলে কিনা সেটাই এবার দেখার।