• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

বছরে মাত্র ৭ দিনের জন্য খোলে দ্বার, জাগ্রত এই মন্দিরে পুজো দিলেই পূরণ হবে সব মনোকামনা

ভারত (India) হল মন্দিরের দেশ। এখানকার প্রত্যেকটি মন্দিরের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং কাহিনী রয়েছে। এমনই একটি মন্দির হল হাসানাম্বা মন্দির (Hasanamba Temple)কর্ণাটকে (Karnataka) অবস্থিত এই জাগ্রত মন্দিরের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এই মন্দির বছরে মাত্র একবার ৭ দিনের জন্য খোলে। আজকের প্রতিবেদনে সেই কাহিনীই তুলে ধরা হল।

এমনিতে দেশের প্রত্যেক মন্দিরেরই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে। হাসানাম্বা মন্দিরও এর ব্যতিক্রম নয়। সারা বছর যেমন এই মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। শুধুমাত্র দীপাবলির সময় এক সপ্তাহের জন্য ভক্তদের জন্য হাসানাম্বা মন্দির খুলে দেওয়া হয়। তাও সর্বক্ষণের জন্য নয়, নির্দিষ্ট কিছু সময়েই দর্শনার্থীরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন।

   
Hasanamba Temple, Hasanamba Temple Karnataka

প্রত্যেক বছর অক্টোবর মাস নাগাদ দীপাবলির মরসুমে কর্ণাটকের এই জাগ্রত মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। রোজ সকাল ৭টা থেকে ১০টা, দুপুর ৩টে এবং রাত ১০টায় মন্দিরে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারেন। মনে করা হয়, যে ব্যক্তিরা ভীষণ ভাগ্যবান শুধুমাত্র তাঁরাই এই মন্দিরে পুজো দিতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ভারতেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৫ মন্দির,যাদের ধন-সম্পদের পরিমাণ চোখ কপালে তোলার মত

কর্ণাটকের হাসানে অবস্থিত এই মন্দিরে দেবী হাসানাম্বার আরাধনা করা হয়। স্থানীয় মানুষদের জীবনে এই মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম। শোনা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে এই মন্দিরের নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও কে বা কারা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা এখনও অজানা।

আরও পড়ুনঃ জঙ্গলে ঘেরা অথচ রয়েছে সব সুযোগ সুবিধা, রইল হালকা শীতে ঘোরার জন্য সেরা অফবিট ডেস্টিনেশনের হদিশ

Hasanamba Temple, Hasanamba Temple Karnataka

হাসানাম্বা মন্দির যেহেতু বছরভর বন্ধ থাকে, সেই জন্য দেবীর কাছে দু’ব্যাগ চাল, ফুল, জ্বলন্ত প্রদীপ এবং জল রেখে দেওয়া হয়। এছাড়া মন্দিরের ভেতরে একটি ঘিয়ের প্রদীপ রেখে দেওয়া হয়। যতদিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে, ততদিন এই প্রদীপ জ্বলবে বলে বিশ্বাস করা হয়।

কর্ণাটকের এই জাগ্রত মন্দির ঘিরে একাধিক কাহিনীও শুনতে পাওয়া যায়। অনেকে যেমন বলেন, একবার পৃথিবী ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন সাত মাতৃকা। সেই সময় হাসানের সৌন্দর্য দেখে তাঁরা বিস্মিত হয়ে যান এবং সেখানেই থাকার কথা ঠিক করেন। এরপর থেকে সেখানে পূজিত হন দেবীরা।