টলিউডের (Tollywood) বিখ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)। একসময় টলিউডের ছবি মানেই যে সমস্ত নায়কদের কথা সবার আগে মাথায় আসত তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেতা। ৯০ এর দশকে একেরপর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য প্রশংসাও পেয়েছেন ভরপুর। তবে একটা আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে অভিনেতার, সেটা হলে ডিটেকটিভ চরিত্র ‘ফেলুদা (Feluda)’ হিসাবে অভিনয়ের।
কমার্শিয়াল বাংলা ছবির পাশাপাশি গোয়েন্দা ছবি চাহিদা সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে। আর বিগত কয়েক বছরে আগের তুলনায় অনেক বেশি করে গোয়েন্দা গল্প নিয়ে ছবিও তৈরী হয়েছে। এমন কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ও করেছেন অভিনেতা। যার মধ্যে ‘ষড়রিপু’, ‘ষড়রিপু ২’, ‘কিরিটী রায়’ এর মত ছবি রয়েছে। কিন্তু এসব ছাড়াও অভিনেতার ইচ্ছা ছিল ‘ফেলুদা’ চরিত্রে অভিনয়ের।
তবে কি গোয়েন্দা হিসাবে ফেলু মিত্তিরকেই ব্যক্তিগতভাবে বেশি পছন্দ অভিনেতার? এমন প্রশ্ন উঠে এসেছিল ফেলুদা চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা জানতে পারার পরেই। যাঁর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, ‘আসলে ফেলুদা চরিত্রটা করার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বেণু সেটা নিয়ে গেল। এটাই আক্ষেপ’। এখানে ‘বেণু’ বলতে ফেলুদা চরিত্রের অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীকে (Sabyasachi Chakraborty) বোঝানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা চরিত্রে যে চিরঞ্জিৎ কাজ করেন নি বা কাজ পাচ্ছেন না তা কিন্তু একেবারেই নয়। সম্প্রতি ‘মৃত্যুর রং ধূসর’ নামের একটি ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ছবিতে অভিনয় করছেন অভিনেতা। যেখানে ডিটেক্টিভের চরিত্রেই দেখা যাবে তাকে। ছবির কাহিনী অনুযায়ী, শহরের কিছু ছেলেমেয়ে খুন হয়ে গেলেও পুলিশ ব্যর্থ খুনিকে ধরতে। এরপর লালবাজারের তরফে বিশেষ টিম তৈরী করে তদন্তে জানা যায় সমস্তটা সাইকো কিলারের কীর্তিকলাপ।
জানা যাচ্ছে ছবিটির নাম করেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী নিজেই করেছেন। ছবির নাম নিয়ে পরিচালক বিক্রম চিন্তিত ছিলেন তখনই এই নাম সাজেস্ট করেন অভিনেতা। গতবছরের ৭ই নভেম্বর ছবির নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুটিংয়ের কাজও এগিয়েছে অনেকটাই। তাঁর মতে, ছবির স্ক্রিপ্টটা খুবই ভালো। আমি এমনিতেই রহস্য অনুসন্ধান আর টানটান উত্তেজনার গল্প ভালোবাসি। তেমনই একটি কাজ। তাই বেশ মজা করেই কাজটা করেছি।