Bollywood Actress who made record on getting married: টলিউড (Tollywood) হোক বা বলিউড (Bollywood) প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদের খেলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে চলতেই থাকে। প্রথম বিয়ে ভাঙার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এমন অভিনেতা-অভিনেত্রীর (Bollywood Actress) সংখ্যা প্রচুর। টলি সুন্দরী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) যেমন তিন বার সাত পাক ঘুরেছেন। তবে বলিউডে সর্বাধিক বিয়ের রেকর্ড (Highest Number of Marriage) কোন নায়িকার দখলে আছে জানেন?
টলিপাড়ায় যেমন শ্রাবন্তী আছেন, তেমনই বলিপাড়াতেও এমন এক নায়িকা রয়েছে যিনি বহুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। বিয়ের সংখ্যার নিরিখে তিনি শ্রাবন্তীকেও হারিয়ে দিয়েছেন। টলি অভিনেত্রী তো মাত্র .তিন বার বিয়ে করেছেন। কিন্তু এই বলিউড নায়িকা নিজের জীবনে মোট পাঁচ বার সাত পাক ঘুরেছেন। সেই অভিনেত্রীর নাম হল মীনা শোরে (Meena Shorey)।
চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী ছিলেন মীনা। আদতে একজন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হলেও বলিউডেও বেশ নামডাক হয়েছিল তাঁর। এই সুন্দরী নায়িকার আসল নাম ছিল খুরশিদ জেহান। ১৯৪১ সালে অভিনয় কেরিয়ার শুরু হয়েছিল তাঁর।
অসাধারণ সুন্দরী মীনাকে দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন সেই সময়ের বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতা তথা প্রযোজক, পরিচালক এবং গায়ক জহুর রায়। কিন্তু সেই বিয়ে মাত্র ১ বছর টেকে। এরপর সহ অভিনেতা আল নাসিরকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। এই বিয়ের আয়ুও বেশিদিন ছিল না। এরপর রূপ কে শোরেকে বিয়ে করেন মীনা। অভিনেত্রীর তৃতীয় বিয়ে প্রায় ৭-৮ বছর টিকেছিল। তৃতীয় স্বামীর পদবীতেই পরিচিতি লাভ করেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ বাঙালি গায়কের প্রেমে পড়েই শেষ কেরিয়ার! বলিউড থেকে হারিয়ে কেমন আছেন মীনাক্ষী শেষাদ্রি?
আরও পড়ুনঃ বলিউডের পর্দায় সবথেকে বেশিবার ধর্ষিত হয়েছেন, দেখুন তো এই অভিনেত্রীকে চেনেন কি না?
দেশভাগের পর পাকাপাকিভাবে পাকিস্তান চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মীনা। অপরদিকে তাঁর স্বামী রূপ হিন্দু ছিলেন, তিনি ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর পাকিস্তান গিয়ে ফের বিয়ে করেন অভিনেত্রী। তাঁর চতুর্থ স্বামীর নাম ছিল রাজা মীর। তিনি পেশায় চলচ্চিত্র প্রযোজক তথা চিত্রগ্রাহক ছিলেন।
প্রথম তিন বিয়ের মতো মীনার চতুর্থ বিয়েও ভেঙে গিয়েছিল। এরপর ১৯৬২ সালে সহ শিল্পী আসাদ বোখারিকে বিয়ে করেন তিনি। অভিনেত্রী দুই পুত্র সন্তান ছিল, এরপর এক কন্যা সন্তানকে দত্তক নেন তিনি। শোনা যায়, এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর শেষ জীবন ভীষণ কষ্টে কেটেছিল। ১৯৭৪ সালের পর থেকে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে মৃত্যু হয় মীনার।