স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় (Anurager Chhowa) এখন প্রত্যেকটি পর্ব দারুণ জমজমাট হচ্ছে। এবার রীতিমতো মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে মিশকা এবং দীপা। একজন সূর্যকে বিয়ে করার মরিয়া, দ্বিতীয়জন স্বামী-সংসার বাঁচাতে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। সূর্যকে নিয়ে দীপা-মিশকার এই দড়ি টানাটানি ভীষণ উপভোগ করছেন দর্শকরা।
ধারাবাহিকটি (Bengali Serial) যারা রোজ দেখেন তাঁরা জানেন, একরাত থাকার নাম করে সেনগুপ্ত বাড়িতে পাকাপাকি ঠাঁই জোগাড় করে নিয়েছে মিশকা (Mishka)। যদিও তাকে থাকতে দেওয়ার পিছনে দীপার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। শত্রুর ওপর নজরদারি করতেই তাকে নিজের চোখের সামনে রেখেছে সে। আর এখন ঠিক সেটাই করছে দীপা (Deepa)। প্রত্যেক পদে পদে মিশকার সব প্ল্যান সে ভেস্তে দিচ্ছে।
এদিনের পর্বে দেখতে পাবেন, শরীর খারাপের নাটক করে আবারো সূর্যর (Surjya) কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে মিশকা। তখন দীপা সাফ বলে, তার যা অবস্থা তাতে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো উচিত। একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এখানে কিছুই করতে পারবে না। এরপর মিশকা যাতে আর কোনও জারিজুরি না করতে পারে সেই জন্য একজন ভালো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে বাড়িতে নিয়ে আসে দীপা।
ডাক্তার নিয়ে দীপার কাছে জব্দ হওয়ার পরেও অবশ্য শুধরোয় না মিশকা। সে ফের খাবার নিয়ে অশান্তি শুরু করে। এরপর কাজের বাহানা করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। কারণ মিশকা বুঝে গিয়েছে, এভাবে বাড়িতে বন্দি থাকলে সে কিছুই করতে পারবে না।
কিন্তু দীপা মিশকাকে সাফ বলে, সেনগুপ্ত বাড়িতে থাকতে হলে এই বাড়ির সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আর সে যদি সেগুলো না মানতে পারে, তাহলে যেন নিজের বাড়ি চলে যায়। অন্যদিকে আবার সোনা-রূপার স্কুলে শুরু হয় নতুন ঝামেলা।
সোনা-রূপা স্কুলে যাওয়ার পর অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা বিরোধিতা শুরু করে। তারা প্রিন্সিপাল ম্যাডামকে সাফ বলেন, সোনা-রূপা যদি এই স্কুলে পড়ে তাহলে তারা তাদের সন্তানকে এই স্কুলে পড়াবে না । এমনকি দীপাকেও অনেক কথা শোনায় তারা। যদিও দীপা চুপ করে সব কথা শোনেনি, যথোপযুক্ত জবাবে সকলের মুখ বন্ধ করে দেয় সে।