বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে (Tollywood) এমন অনেক শিল্পী আছেন যাঁদের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল শিশু শিল্পী হিসেবে, এরপর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে এখন পার্শ্বচরিত্রে কাজ করছেন। এমনই একজন অভিনেত্রী হলেন সুভদ্রা মুখোপাধ্যায় (Subhadra Mukherjee)। সাড়ে তিন বছর বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিনি। এখন নায়ক-নায়িকার মায়ের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে।
এই মুহূর্তে জি বাংলার ‘আলোর কোলে’ (Alor Kole) সিরিয়ালে পার্বতী (Parboti) চরিত্রে অভিনয় করছেন সুভদ্রা। খলনায়িকার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। চরিত্রটিতে একাধিক শেড রয়েছে। তিনি যেমন মেয়ের জন্য খলনায়িকা হয়ে যেতে তৈরি, তেমনই মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে নিজের সবটুকু উজাড়ও করে দিতে পারেন। সম্প্রতি সুভদ্রাই এক জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের কাছে আলাপচারিতায় বসেছিলেন।
কেরিয়ারের শুরু থেকে নতুন প্রজন্মের তারকা, সব কিছু নিয়ে কথা বলেন পর্দার পার্বতী। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই সুভদ্রা বলেন, দর্শক আমার ভগবান। দর্শকরা যেদিন আমায় ভুলে যাবেন সেদিন আমার আর কোনও মূল্য থাকবে না। পাশাপাশি এও জানান, অভিনয় ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। অভিনয়টা রক্তে আছে।
আরও পড়ুনঃ ‘দুমড়ে গিয়েও বেঁচে…’, বুকের মধ্যে জমে যন্ত্রনা! অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন অনুপম
এই মুহূর্তে পর্দায় খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তব জীবনে দারুণ একজন মানুষ সুভদ্রা। মানুষের বিপদে আপদে সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কারোর অসুবিধায় আমি কিছু করতে পারলাম না, করতে পারবো জানতাম কিন্তু করলাম না। এমন দিন দেখার আগে যেন আমার মৃত্যু হয়ে যায়’।
এখানেই না থেমে সুভদ্রা বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই সবাইকে নিয়ে চলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ির সবাই, আমার বাইরের সবাই, আমার পাড়া-প্রতিবেশী যারা আছেন তাঁরা। আমার পাড়া-প্রতিবেশী, আশেপাশের যারা আছেন তাঁদের কোনও সমস্যা হলে আমায় ফোন করে বলেন। আমি কেউই নয়। কিন্তু তাঁরা জানেন, মানুকে (আমার ডাকনাম) বলেছি মানেই ও কিছু না কিছু একটা করবে’।
আরও পড়ুনঃ বন্ধুর সাথে ঘর বাধবে প্রেমিকা, কোনোদিন প্রেম করব না চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দিব্যজ্যোতি!
সাক্ষাৎকারে কথার সূত্র ধরেই সুভদ্রা বলেন, মানুষের সেবা করতে করতেই তিনি এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে চান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি যেন মানুষের সেবা করতে করতে মরি। এটা আমার এখন ইচ্ছে… মেয়েটার বিয়েটা এখন আমার একটা দায়িত্ব। তাছাড়া আমার আর এই মুহূর্তে কোনও দায়িত্ব নেই। ফলে আমার এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের কাজ করা’।