Subhrajit Dutta Unknown Story : অভিনয়ে আসা মানেই নায়ক হতে হবে! একসময় এমনই একটা ধারণা প্রচলিত ছিল অভিনেতাদের মধ্যে। অর্থাৎ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করায় যেন অভিনেতা হওয়ার একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু এখন সেই পুরনো মিথ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। বাংলা বিনোদন জগতের এমনই একজন ব্যতিক্রমী অভিনেতা হলেন শুভ্রজিৎ দত্ত (Subhrajit Dutta)। পর্দায় কখনও তিনি খলনায়ক আবার কখনও নিপাট ভদ্রলোক। আবার কখনও আদ্যোপান্ত একজন কমেডিয়ান।
বিনোদনের যে কোন মাধ্যমেই, যে কোনো চরিত্রেই নিজেকে অবলীলায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন তিনি। পোড় খাওয়া এই অভিনেতা একসময় থিয়েটারে অভিনয় করেছেন চুটিয়ে। ছোটপর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে অভিনেতা একবাক্যে স্বীকার করেছেন তাঁকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি দিয়েছে এই বাংলা সিরিয়াল। কিছুদিন আগে পর্যন্তও তাঁকে ‘গাঁটছড়া’ সিরিয়ালের খলনায়ক পিসি মশাইয়ের চরিত্রে দেখেছিলেন দর্শক।
আর এখন তাঁকে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার নতুন সিরিয়াল ‘লাভ বিয়ে আজকাল’-এ নায়িকার জামাইবাবুর চরিত্রে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না জনপ্রিয় এই অভিনেতাই একসময় যুক্ত ছিলেন শিক্ষকতার মতো নিরাপদ পেশার সাথে। কিন্তু হঠাৎ সেই পেশা ছেড়ে তিনি অভিনয় এলেন কেন?
আরও পড়ুনঃ মেয়েটাকেও রেহাই দেয়নি! ‘হু ইজ কেকে’ বিতর্ক মনে পড়তেই কেঁদে ভাসালেন রূপঙ্কর
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন ‘কলেজে পড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু শরিকি বাড়ি। মামলা-মোকদ্দমা সামলানোর ব্যাপার ছিল। তাই দূরে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও উপায় ছিল না। স্কুলের চাকরি পেয়েছিলাম হিঙ্গলগঞ্জে। বাড়ি, পাড়া, বন্ধুবান্ধবকে মিস করতাম। তার পর আকাশ বাংলায় রিসার্চার হিসেবে ঢুকি। দেবপ্রতিম দাশগুপ্তের নন-ফিকশন প্রজেক্টে জড়িয়ে যাই। সেই শুরু।’
আরও পড়ুনঃ টলিউডের প্রথম কমেডি কিং! শেষ বয়সে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিণতি চোখে জল আনার মত
আদতে উত্তর কলকাতার বাগবাজারের বাসিন্দা শুভ্রজিতের থিয়েটারে অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল খুব ছোটবেলাতেই। একটা সময় পজেটিভ চরিত্রে অভিনয় করলেও পরে নিজের ইচ্ছাতেই তিনি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। এই নেগেটিভ চরিত্রে অনেক ভেরিয়েশন দেখেই নাকি তিনি অমন বিপরীত ধর্মী চরিত্রে অভিনয় করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন।
পুরনো ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেতার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তাঁর হিরো হওয়ার ইচ্ছা হয়নি কেন? জবাবে শুভ্রজিৎ জানিয়েছিলেন ‘কখনও বাসনা হয়নি যে, নায়ক হব। মাঝেমাঝে মনে হয় যে, হিরোর কিছুই করার নেই। আমার আসলে ক্যারেক্টার অ্যাক্টিং ভাল লাগে। কমেডিয়ানেরও নিজস্ব হিরোইজম আছে। ফলে নায়ক হোক কিংবা পার্শ্বভূমিকা, চরিত্রটাই আমার কাছে আসল।’ ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিমধ্যেই একুশটা বছর কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। তবে শুধু অভিনয় নয় এছাড়াও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, এই শুভ্রজিতের লেখালেখি, পড়াশোনা, ছবি আঁকা, মাউথঅর্গ্যান বাজানো, ফুটবল খেলার পাশাপাশি গান গাওয়ারও শখ রয়েছে।