‘শান’ (Shaan) নামটা সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। সেই ৯০ এর দশক থেকে বলিউড তথা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়ে আসছেন এই বিখ্যাত বাঙালি গায়ক। একটা গোটা প্রজন্মের আজও মুখস্ত শানের সমস্ত গান। প্রেম থেকে বিরহ এমনকি আনন্দ দুঃখ সব মুহূর্তের জন্যই গান গেয়েছেন তিনি। তবে ‘শান’ কিন্তু তাঁর আসল নাম নয়, তাহলে কি আসল নাম? উত্তর হল শান্তনু মুখোপাধ্যায় (Shantanu Mukherjee)। নিজে একজন ভারতবিখ্যাত গায়ক হলেও তাঁর ছেলেরা কি করে জানেন? চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক শানের ছেলে সোহম মুখোপাধ্যায় (Sohom Mukherjee) ও মাহি (Mahi) এর সম্পর্কে।
বিখ্যাত প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসাবে শানকে চিনলেও, তাঁর ছেলেকে খুব কমজনই চেনেন। কেন? কারণ বাবার নাম ভাঙিয়ে নয় নিজের প্রতিভা দিয়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় শানপুত্র সোহম। ইতিমধ্যেই সে সংগীতের জগতে প্রবেশ করেছে। বর্তনে সনি মিউজিক ইন্ডিয়া ও KWAN এর ‘Big Bang Music’ এর সাথে যুক্তি রয়েছেন সোহম। সেখানে রেকর্ড প্রোডিউসার হিসাবেই কাজ করছেন তিনি।
সোহম ভারতে থাকেন না, পড়াশোনার জন্য ২০২১ সালেই দেশ ছেড়ে লস অ্যাঞ্জেলস উড়ে গিয়েছেন। সেখানে এন্টারটেইনমেন্ট ল অ্যান্ড বিজনেস নিয়ে বিএসসি এর পড়াশোনা করছেন তিনি। তবে বাবার মত পড়াশোনার পাশাপাশি গানের গলায় দুর্দান্ত সোহমের। ক্লাসিক নয় বরং মুম্বাইয়ের ‘সিটিমল’ নামক এক RAP গ্রূপের সদস্য তিনি। তাঁর বিখ্যাগ গানগুলির মধ্যে লাইফস্টাইল, ডেভিড বেকহাম, বেফিজুল, ক্রেজি, গন, নাইস টু মিট এর মত একাধিক গান রয়েছে। তবে সোহমের প্রথম কাজ ছিল টাইগার শ্রফের ফার্স্ট গান ‘আনবিলিভেবল’।
আরও পড়ুনঃ ‘পরিচালকরা সব আঁতেল, দেব-জিৎ দুটোই হারামজাদা!’ কেন এমন বিস্ফোরক সুমিত গাঙ্গুলী? দেখুন ভিডিও
ছেলের আমেরিকায় পড়াশোনা ও থাকার সম্পর্কে এক সাক্ষৎকারে শান বলেন, ‘আমি মোটেই চিন্তিত নই সোহমের আমেরিকায় থাকা নিয়ে। আমি জানি ও নিরাপদ পরিবেশ থাকে, কলেজও রাস্তার ওপারে। তাছাড়া একটা সময় পর সবাইকেই স্বাধীন হতে হয়’।
আরও পড়ুনঃ প্রেমমগ্ন প্রসেনজিৎ পুত্র তৃষাণজিৎ! সুন্দরীর গালে দিলে চুমুর ছবি ফাঁস হতেই জল্পনা নেটপাড়ায়
View this post on Instagram
এদিকে শানের আরেক ছেলে মাহি, সেও বাবার মতোই ট্যালেন্টেড হয়েছে। মাহির একটি গান সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল হয়েছে যেটা বাবা শানের সাথে গেয়েছে। জানি আসলে কিশোর কুমারের বিখ্যাত গান ‘মেরে সামনেওয়ালি খিড়কি মে এক চাঁদ কে টুকরা রেহতি হ্যায়’ গানের রিমেক। নেটিজেনদের অনেকেই মাহির গোলাকে শানের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন।