দেখতে দেখতে এক বছর পার। ২০২২ সালে এই দিনেই তারাদের গমন করেছিলেন টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে নতি স্বীকার করেছিলেন তিনি। আজ এক বছর পর ঐন্দ্রিলার না থাকার সঙ্গে অনেকে মানিয়ে নিলেও, পারেননি একজন। তিনি হলেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা (Shikha Sharma)।
এক বছর হয়ে গেল তাঁর আদরের ‘মিষ্টি’ প্রয়াত হয়েছে। তাঁর স্মৃতি আঁকড়েই এখন দিনযাপন করছেন শিখাদেবী। ঐন্দ্রিলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে (Death Anniversary) মায়ের চোখের সামনে ভিড় করে আসছে গত বছরের নানান স্মৃতি। জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে শিখাদেবী বলেন, ‘গত বছর নভেম্বর মাসে এই সময়টা আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, সেটা আমার চোখের সামনে ভাসে। অসুস্থ হলেও প্রাণটা তো ছিল। আমার আশায় ছিলাম, ও আবার ফিরে আসবে। ও যেমন লড়াকু ছিল, তাতে মন বলতো ও ঠিক ফিরবে’
ঐন্দ্রিলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীকে কলকাতায় নেই মা শিখা শর্মা। আজ বেঁচে থাকলে ২৫ বছর বয়স হতো অভিনেত্রীর। সেই জন্য সকাল থেকে বহরমপুরের নানান স্থানে ২৫টি বৃক্ষরোপণ করেছেন তাঁর মা। এছাড়া কিছু দুঃস্থ মানুষদের খাওয়ানো, পথ সারমেয়দের খাওয়ানো, শীতবস্ত্র দান করার পরিকল্পনা আছে তাঁর।
আরও পড়ুনঃ ছেলেকে নিয়েই মত্ত! সোনা-রূপার জন্মদিন ভুলে গেল সূর্য, টিভির আগেই ফাঁস আজকের ধামাকা পর্ব
এক বছর আগের স্মৃতিতে ডুব দিয়ে শিখাদেবী বলেন, ১ নভেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই পোষ্যকে খাইয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর সঙ্গে অনেক গল্পও করেছিলেন। সেদিনই নাকি শ্যুটিংয়ের জন্য গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। তবে সেটা আর হয়নি! আচমকাই হাত-পা পড়ে যায় ঐন্দ্রিলার। সেই সঙ্গে শুরু হয় বমি। এরপর থেকে আর মেয়ের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি ‘জিয়ন কাঠি’ নায়িকার।
আরও পড়ুনঃ পরাগকে ব্ল্যাকমেল করতেই পাল্টি মধুবালার, আবারও শুরু অত্যাচার! টিভির আগেই ফাঁস ফুল ধামাকা পর্ব
কথার সূত্রেই ঐন্দ্রিলার মা জানান, তাঁর মেয়ে ভীষণ স্বাস্থ্য সচেতন ছিল। প্রেমিক সব্যসাচী বাইরের খাবার খেতে ভালোবাসতেন বলে তাঁকে রীতিমতো বকাবকি করতেন ঐন্দ্রিলা। শিখাদেবী বলেন, ‘সব্য বলতো বিয়ের পর আর খাবো না। ২০২৩ সালের ১২ মার্চ ওঁদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওঁদের। সেদিন দ্বিতীয় রবিবার ছিল। এখন সবটাই গল্প হয়ে গেল…’।
নিজেকে কিছুটা সামলে শিখাদেবী বলেন, ‘বিশাল কিছু আয়োজন করতাম না। রেজিস্ট্রি বিয়ে করে কাছের কিছু মানুষজনদের খাওয়াতাম। সব্যসাচী চেয়েছিল নভেম্বরে বিয়ে করতে। ওঁর বাড়ির লোকও সেকথাই বলেছিল। তবে ঐন্দ্রিলা বললো, মা দু’মাসে আমার চুলটা আরও একটু বড় হয়ে যাক। তারপর সুন্দর করে সাজবো। তখনই বিয়ে করবো। সেই হিসেবেই সব ঠিক হয়েছিল’।
ঐন্দ্রিলার মা জানান, রাতে সব্যসাচীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। অভিনেতা হোয়াটসঅ্যাপে লিখেছিলেন, ‘সবই আছে কাকিমা, শুধু আমার মিষ্টিটাই নেই…’। শিখাদেবী জানান, তিনি কলকাতায় গেলে সব্যসাচী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। নিয়মিত কথা হয় দু’জনের। সাক্ষাৎকার শেষের আগে ঐন্দ্রিলার মা বলেন, ‘আমার মনে হয় না ঐন্দ্রিলা ছাড়া সব্যসাচী আর কাউকে ভালোবাসতে পারবে বলে। ওঁর কথা শুনে আমার কখনও সেকথা মনে হয়নি’।