জি বাংলার (Zee Bangla) নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) সিরিয়ালে প্রতিদিনই নতুন কিছু দেখতে পাচ্ছে দর্শকেরা। কমেডি থেকে শুরু করে পারিবারিক দ্বন্দ্ব আর সৃজন-পর্ণার খুনসুটি সবই চলছে একসাথেই। টিআরপি তালিকাতেও বেশ ভালো ফল মিলছে। শেষ প্রকাশিত টার্গেট রেটিং পয়েন্টের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ধারাবাহিকটি। তবে এবার আবারও নতুন বিপদ আসন্ন দত্ত পরিবারে।
ইশার সাথে হাত মিলিয়ে কুকীর্তি করে ধরা পড়েছে অয়ন-মৌমিতা। ছেলে এমন কুলাঙ্গার হবে এটা মানতে পারেনি ধ্যাষ্টামো জ্যেঠু। রেগে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে দুজনকেই। এরপর রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে দুজনের। যদিও শয়তানি এখনো কমেনি, তবে পেটের দায়ে শেষপর্যন্ত ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিয়েছে তারা। এতে আয়ও হচ্ছে ভালোই। অন্ধের অভিনয় করে গান গেয়ে ভিক্ষা করছে অয়ন।
কিন্তু টাকার লোভ এখনো যায়নি দুজনের কারোর মন থেকেই। তাই ভিখারির বেশ ধরা এক ঠগের কবলে পড়ে যায় অয়ন-মৌমিতা। ভিখারি হয়েও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেখে তার সাথে কথা বলতে শুরু করে দুজনে। এরপর জানতে পারে তার বাড়ি, গাড়ি সবই আছে। দিনে কাজ ভিক্ষা করা, তবে তার লক্ষ লক্ষ টাকা আছে। এরপর লাখপতি বানিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেই ফাঁদে পড়ে যায় দুজনে।
আরও পড়ুনঃ জুড়বে না ‘সুদীপা’র সংসার, ইরার সঙ্গে এক ঘরে রাত কাটালো সূর্য! আগাম পর্ব ফাঁস হতেই চটে লাল দর্শকরা
রাতে শুয়ে শুয়ে ‘ভিখারি অফ দ্য ইয়ার’ হওয়ার স্বপ্ন দেখে মৌমিতা। এদিকে পর্ণা ইতিমধ্যেই জানতে পরে যায় যে শহরে নতুন এক গ্যাং শুরু হয়েছে। যারা ভিখারিদের টার্গেট করছে, এর ফলে প্রচুর ভিখারি উধাও হয়ে যাচ্ছে। অয়ন-মৌমিতার সাথে যাতে এমনটা না হয় তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল সে। কিন্তু এর আগেই সেই গ্যাংয়ের কবলে পরে গিয়েছিল দুজনে। এরপর জেতার ভয় ছিল সেটাই হল।
আরও পড়ুনঃ ‘যোগমায়া’ আসতেই লালবাতি! আচমকাই শেষ হচ্ছে জি বাংলার এই জনপ্রিয় মেগা, মাথায় বাজ দর্শকদের
গ্যাংয়ের ভিখারি মেম্বারের সাথে তাদের আড্ডায় পৌছালো অয়ন-মৌমিতা। বাইরে থেকেই ভাঙাচোরা বাড়ি মনে হলেও ভেতরে ঢুকতেই তারা দেখলো যে আলিশান বাংলো। সেখানে দামি জিনিসপত্র দেখে আনন্দে লাফাচ্ছিলো দুজনেই। তারপর তাদের শরবত খাওয়ানো হয়, যাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। সেটা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই দুজনকে অন্ধকার ঘরে আরও কিছু বন্ধীদের সাথে রেখে দেওয়া হয়। এখন আগে কি হয় সেটাই দেখার।