প্রত্যেক সপ্তাহেই দর্শকদের কোনও না কোনও চমক দেয় স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। এখন যেমন ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছে দীপা। প্রাক্তন শাশুড়ি লাবণ্য সেনগুপ্তর সঙ্গে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছে সে। তবে এই ব্যবসার পথে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। তবে সবাই যখন একসঙ্গে আছে, তখন কোনও না কোনও উপায় বেরিয়েই আসবে, এই বিষয়ে নিশ্চিত দীপা।
স্টার জলসার এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, তিস্তাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে দীপা। ভিক্টর তিস্তাকে নিয়ে বাড়ি যেতে চায়। কিন্তু তিস্তা কিছুতেই রাজি নয়। সে লাবণ্য এবং প্রবীরের সঙ্গে আরও কিছুটা সময় কাটাতে চায়। কিন্তু ভিক্টর তার ওপর জোর করতে থাকে। এটা দেখে প্রতিবাদ করে দীপা (Deepa) আর অর্জুন (Arjun)।
এরপর পারফিউমের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায় দীপা। সেই সুযোগে তিস্তাকে নিয়ে ঘরে যায় ভিক্টর। এরপর শুরু হয় অত্যাচার। চিৎকার চেঁচামেচির পাশাপাশি ভিক্টর তিস্তার (Tista) গায়ে হাত অবধি তোলে। সেই সময় দীপা এসে উপস্থিত হয়। তাকে দেখতে পেয়ে ভালোমানুষির নাটক শুরু করে ভিক্টর (Victor)। কিন্তু দীপার মনে একটা খটকা থেকে যায়।
আরও পড়ুনঃ শতদ্রু নয়, কুলাঙ্গার স্বামীর কাছেই ছুটল শিমুল! আগাম পর্ব ফাঁস হতেই ‘বেঈমান’ তকমা দিল নেটপাড়া
অন্যদিকে একসঙ্গে কফি খেতে যাওয়ার পর থেকে সূর্য-ইরার মধ্যে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইরা নিজের দুঃখের কাহিনী সূর্যকে (Surjya) শোনায়। অপরদিকে সূর্যও নিজের অতীতের কিছু কথা ভাগ করে নেয় ইরার (Ira) সঙ্গে। এরপর সূর্য লক্ষ্য করে ইরা অনেকক্ষণ ধরে কারোর সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। এদিকে ইরার ফোনে বারবার করে তার বাবার ফোন আসতে থাকে।
শেষ অবধি ইরাকে ফোনটা দিতে আসে সূর্য। কিন্তু তাকে দেখেই মিথ্যে কথা বলতে শুরু করে ইরা। সে বলে, তার বাবা ফোন করেছিল। এদিকে ইরার ফোন তো এতক্ষণ সূর্যর কাছে ছিল। মেয়েটা বিনা কারণে কেন মিথ্যে কথা বলছে? এটা কিছুতেই ভেবে পায় না সূর্য। এদিকে সূর্যর সন্দেহ হয়েছে দেখে ইরা নানান অছিলায় কথা ঘোরানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সূর্য কিছুতেই তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে উঠতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ জল্পনাই সত্যি! ৫৩ বছর বয়সে ২৭এর বান্ধবী শ্রীময়ীকেই তৃতীয় স্ত্রী বানালেন কাঞ্চন মল্লিক
কিছু দর্শকের অনুমান, ইরাকে হয়তো মিশকার পাপাই পারিজাত সেন সূর্যর কাছে পাঠিয়েছে। সে হয়তো মিশকার পাপাইয়ের মেয়ে কিংবা তার পাঠানো কোনও লোক। সত্যিই কি তাই? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে টেলিভিশনের পর্দা এবং বং ট্রেন্ডের প্রতিবেদনে।