চরম সংকটের সময় সেনগুপ্ত পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপা (Deepa)। প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের যাতে পথে বসতে না হয় সেই জন্য নিজের বাড়িতে ঠাই দিয়েছিল সে। দীপার বুদ্ধিমত্তার জন্যই আজ সেনগুপ্ত বাড়ি ফিরে পেয়েছে লাবণ্য-প্রবীররা। সেই সঙ্গেই সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে কাকাইকে নির্দোষ প্রমাণ করেছে সে। এতকিছুর পরেও জয়-কাকিয়ার থেকে চরম অপমানিত হতে হল দীপাকে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) সাম্প্রতিক পর্বে জানা গিয়েছে, সেনগুপ্ত বাড়ি সোনা-রূপার নামে লিখে দিয়েছে প্রবীর। এরপর থেকেই পরিবারের মধ্যে একটা চাপানউতোর চলছে। বাবার এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মেনে নিতে পারেনি জয় (Joy)। আচমকাই তার চোখে দীপা ভিলেন হয়ে গিয়েছে। আজকের পর্বে অর্জুন-দীপার সম্পর্কের দিকেও আঙুল তুলতে দেখা যাবে তাকে।
সেনগুপ্ত পরিবারের অন্দরে এখন সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। কাকিয়ার ধারণা, দীপা নিজের মেয়ের জন্য এসব করছে। সেনগুপ্ত বাড়ি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার আসল উদ্দেশ্য। যদিও লাবণ্য-প্রবীর (Labanya Prabir) সেসব কথায় কান না দিয়ে রূপার চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে চায়। জয় আবার ভাবে তার বাবা-মা তার থেকে বেশি দীপাকে বিশ্বাস করে। যে কারণে ভেতর ভেতর দীপার প্রতি একটা ক্ষোভ জন্মায় তার।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের আসরে মেঘকে গুলি করতে গিয়ে ধরা পড়লো ময়ূরী! ফাঁস ‘ইচ্ছে পুতুল’র রুদ্ধশ্বাস অন্তিম পর্ব
একদিকে সেনগুপ্ত বাড়িতে এই টালমাটাল পরিস্থিতি, অন্যদিকে ভিক্টরকে (Victor) বিয়ে করে পস্তাচ্ছে তিস্তা (Tista)। বিয়ের পরের দিনই নিজের আসল চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে ভিক্টর। তিস্তার ওপর মানসিক, শারীরিক অত্যাচার করছে সে। কয়েকদিন আগেই গরম কফি ছুঁড়ে মেরেছিল তাকে। সেই সঙ্গে ধমক তো আছেই। সব মিলিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেশ আতঙ্কে রয়েছে সূর্যর বোন।
এসবের মাঝেই ভিক্টর জানতে পারে, সেনগুপ্ত বাড়ি আবার ফিরে পেয়েছে লাবণ্য-প্রবীররা। একথা জানা মাত্রই তিস্তাকে নিয়ে ফের সেখানে হাজির হয় সে। উদ্দেশ্য একটাই, তিস্তার ভাগ বুঝে নেওয়া। কারণ টাকা না পেলে তিস্তাকে বিয়ে করার আসল উদ্দেশ্য সফল হবে না। সব মিলিয়ে, আজকের পর্ব একেবারে টানটান উত্তেজনার হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘গোয়েন্দা গিন্নি’র দৌলতে জিতেছিলেন দর্শকমন! আজ তিনি হাইকোর্টের উকিল, তবে কি অভিনয় ছাড়ছেন অভিনেত্রী?
একদিকে অর্জুন-দীপার (Arjun Deepa) সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করবে জয়। কারণ এতকিছুর পরেও দীপা তাকে নিজের সঙ্গে নিচ্ছে না! অন্যদিকে বাড়ির সবার সামনে কাকিয়া বলবে, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সেনগুপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে দীপা। টাকার জন্য সে সবকিছু করতে পারে। একথা শোনামাত্রই প্রতিবাদ করে উঠবে দীপা। সে বলবে, টাকার জন্য নয়, বরং নিজের মেয়ের প্রাণ বাঁচানোর জন্য আমি সব করতে পারি।