জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) প্রত্যেকটি পর্ব এখন দারুণ জমজমাট হচ্ছে। একদিকে শিমুলের জীবনে নেমে এসেছে ঘোর বিপদ। পলাশ-প্রতীক্ষার ষড়যন্ত্রে পরাগকে বিষ খাওয়ানোর মিথ্যে অপবাদে জেল খাটছে সে। অন্যদিকে শিমুলকে (Shimul) এতদিন দেখতে না পেয়ে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে পুতুল।
ধারাবাহিকের (Bengali Serial) নিয়মিত দর্শকরা জানেন, কয়েকদিন আগেই পুতুল জ্বরে ভুগছিল। মধুবালা, তুতুল সকলে তাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতীক্ষার সেদিকে কোনও ভ্রূক্ষেপ ছিল না। পুতুল (Putul) শুধু শিমুলকে একবার দেখতে চায়। কিন্তু পলাশ-প্রতীক্ষা জানিয়ে দেয়, শিমুলকে আর কখনও এই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
আজকের পর্বে দেখা যাবে, ডাক্তার পুতুলকে ফল খেতে বলেছে। কিন্তু প্রতীক্ষা ফল কিনতে দিচ্ছে না। বৌয়ের মতো পলাশও (Palash) বাধা দেয় মধুবালাকে (Madhubala)। ছেলে-বৌমার এই আচরণের এই তীব্র প্রতিবাদ করে মধুবালা। সে বলে, তিনি নিজের পেনশনের টাকায় খান। তাই তিনি চাইলে পুতুলের জন্য ফল কিনে আনতেই পারে।
আরও পড়ুনঃ ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ জিতেছিলেন দর্শকমন! আজ তিনি হাইকোর্টের উকিল, তবে কি অভিনয় ছাড়ছেন অভিনেত্রী?
পুতুল সেই সময় বলে, পলাশ আর প্রতীক্ষা (Pratiksha) নিজেদের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফল খায়। এটা শোনার পর আরও রেগে যায় মধুবালা। পলাশ-প্রতীক্ষাকে তিনি বলেন, নিজেরা ঘরে বসে ফল খেতে পারিস, কিন্তু অসুস্থ দিদিকে একটু ফল এনে দিতে পারিস না? তখন পুতুল বলে, আজ যদি আমার বউ থাকতো তাহলে এমন হতো না। ও থাকলে আমি রোজ ফল খেতে পারতাম। এটা শুনে আরও বেড়ে যায় প্রতীক্ষার রাগ। সে বলে, বউ আর কখনও এই বাড়িতে আসবে না।
এসবের মাঝেই বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে আসে তীর্থঙ্কর (Tirthankar)। এরপর সে পুতুলের হাতে কিছু ফল দিয়ে বলে, এখানে খুব বেশি ফল নেই। যেটুকু আছে তুমি খেও। পুতুল তখন তাকে জিজ্ঞেস করে সে এতদিন কেন আসেনি? উত্তরে তীর্থঙ্কর জানায়, সে একটা কাজে ব্যস্ত ছিল তাই আসতে পারেনি। এদিকে তীর্থঙ্করকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলতে থাকে প্রতীক্ষা। সে বলে, আপনি এই বাড়িতে কেন এসেছেন? আপনাকে তো আসতে বারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সূর্যর সাথে সংসারী মিশকা, দুমুঠো খাবারের জন্য ভিক্ষা করছে দীপা-লাবণ্য! ফাঁস তোলপাড় করা পর্ব
জবাবে তীর্থঙ্কর বলে, আমায় তুতুল সব বলেছে। আপনি বেশি কথা বলবেন না। স্বামীর সঙ্গে আপনার এই সাজানো সংসার ভাঙতে আমার বেশি সময় লাগবে না। আমার কাছে যা যা ছবি আছে সেগুলো দেখালেই কাজ হয়ে যাবে। এটা শোনার পর ভয় পেয়ে যায় প্রতীক্ষা। কিন্তু পলাশ রেগে গিয়ে ছবিগুলো দেখতে চায়, কিন্তু তীর্থঙ্কর জানায় সঠিক সময় এলে নিশ্চয়ই দেখাবো। তারপর পলাশকে নিয়ে ঘরে চলে যায় প্রতীক্ষা। এরপর মধুবালার কাছে পুতুলকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে তীর্থঙ্কর। সেকথা শুনে মধুবালা আর পুতুল ভীষণ খুশি হয়ে যায়।