রুদ্ধশ্বাস পর্ব দেখিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা ধরে রেখেছে স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। সবদিক থেকে দীপাকে যেন বিপদ ঘিরে ধরেছে। একদিকে রূপার প্রাণ বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে লাবণ্য-প্রবীরদের অধিকার আদায়, একা হাতে সবকিছু সামালাচ্ছে দীপা। পরিবারের এই বিপদের দিনেও অবশ্য ফিরে আসেনি সূর্য (Surjya)। উল্টে এবার জানিয়ে দিল, তার সঙ্গে যেন আর কখনও যোগাযোগ না করা হয়।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, রাতারাতি সেনগুপ্ত বাড়ি হাতিয়ে নিয়েছে মিশকার পাপাই পারিজাত সেন। প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির এই বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দীপা (Deepa)। প্রাসাদসম সেনগুপ্ত বাড়ি ছেড়ে এখন দীপার একচালার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে লাবণ্যরা (Labanya)।
প্রবীর (Prabir) অবশ্য সেনগুপ্ত বাড়ি ফেরানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই সূর্যর লেখা একটা চিঠি পায় দীপা। সকলে ভাবে রূপার (Rupa) শরীর খারাপ জেনে সূর্য হয়তো ফিরে আসবে, সেকথাই চিঠিতে লিখেছে সে। তবে সূর্যর চিঠি পড়ার পর মন ভেঙে যায় দীপার।
আরও পড়ুনঃ শত দুঃখের মাঝে প্রেম দিল উঁকি, জমবে দীপা-অর্জুন জুটি? ফাঁস ‘বসন্তে ভ্যালেন্টাইন’ স্পেশাল পর্ব
সূর্য চিঠিতে লিখেছে, সে একা থাকতে চায়। নিজের জীবনে আর কোনও জটিলতা চায় না। তাকে এবার তার হালে ছেড়ে দেওয়া হোক। পাশাপাশি এও জানায়, দীপাকে লেখা এটা তার শেষ চিঠি। আর যেন কখনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করা হয়। রূপার অসুস্থতার কথা জানার পরেও সূর্য এভাবে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভীষণ রেগে যায় প্রবীর।
সূর্যর লেখা চিঠি পুড়িয়ে প্রবীর তাকে ত্যাজ্যপুত্র করে দেয়। সেই সঙ্গেই বলে, দীপা আজ থেকে তাদের পুত্রসম। কারণ দীপা যেভাবে বিপদের দিনে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তা প্রবীর-লাবণ্যর ছেলে হয়েও সূর্য করতে পারেনি। এদিকে সেনগুপ্ত পরিবারকে তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ছুটোছুটি করতে থাকে দীপা।
আরও পড়ুনঃ দীপা অতীত, তৃতীয় নারীর প্রবেশ সূর্যের জীবনে! নতুন নায়িকার এন্ট্রি দেখেই ক্ষুদ্ধ দর্শকেরা
বর্তমানে সেনগুপ্ত বাড়ির প্রত্যেক সদস্য দীপার মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে। দীপা বাড়ির দলিলের কপি নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়িতে যাবে। সেখান থেকে পারিজাত সেনকে বিতাড়িত করে লাবণ্য-প্রবীরদের আবার ফিরিয়ে আনবে। অন্যান্যবারের মতো দীপার এই লড়াইয়েও তার ছায়াসঙ্গী হয়ে আছে অর্জুন। অন্যদিকে বাবার চিঠি দেখে সোনা-রূপা হতাশ হলেও ভেঙে পড়েনি। কারণ তারা জানে দীপা একা এই কঠিন লড়াই লড়ছে।