সন্তানের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে পারে একজন মা। ঠিক যেমন রূপাকে বাঁচাতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতেও দ্বিধা বোধ করছে না ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপা। এই মুহূর্তে রূপার চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা দরকার। প্রচুর চেষ্টা করেও সেই টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় দীপা। শেষ অবধি নিজের কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, সেনগুপ্ত পরিবারের মাথার ছাদ কেড়ে নিয়েছে মিশকার পাপাই। এই অবস্থায় প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে দীপা। আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, রূপা জেনে গিয়েছে তার দাদুভাই-দিদিভাই সহ সম্পূর্ণ পরিবার এখন দীপার (Deepa) কাছে এসে থাকছে। সেই জন্য তার জন্য এনে রাখা সব ফল সোনাকে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে।
রূপা (Rupa) বলে, এতগুলো মানুষের খাবার কিনতে গেলে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে তার মায়ের। আর এত টাকা মায়ের কাছে নেই সেটা সে জানে। তাই এখানে যা যা খাবার আছে সেগুলো রূপা সবার সঙ্গে ভাগ করে খাবে। ছোট্ট রূপার মুখে একথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যায় সেখানকার ডাক্তার। এরপর বাড়ি ফিরে সেই ফলগুলো লাবণ্যর (Labanya) হাতে তুলে দেয় সোনা। ছোট বয়সে রূপার এমন শিক্ষা দেখে চোখের জল আটকাতে পারে না তার দিদিভাই।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান, শীঘ্রই আসছে জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড! প্রোমো দেখেই উচ্ছসিত দর্শকেরা
অন্যদিকে মদ খেয়ে তিস্তাকে (Tista) খারাপ-খারাপ কথা বলতে থাকে ভিক্টর। পৃথা বাধা দিলে আরও বেশি চোটপাট করতে থাকে সে। ভিক্টর (Victor) নিজে মুখেই স্বীকার করে নেয় সে আসলে কেন তিস্তাকে বিয়ে করেছে। স্বামীর আসল রূপ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায় সে। তিস্তা বুঝে যায় এই বিয়েটা করে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে।
এদিকে টাকার জোগাড় করতে চারিদিকে দিশেহারার মতো ঘুরতে থাকে দীপা। ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে কাবুলিওয়ালা সবার কাছে টাকা ধার চায় সে। কিন্তু কেউ সাহায্য করে না। শেষ অবধি কোনও উপায় না দেখতে পেয়ে নিজের কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এরপর একটা ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে। দীপার কথা শুনে রাজি হয়ে যায় ডাক্তার। কিন্তু অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দীপার হার্টের অবস্থা দেখে সার্জারি করবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘ক্লাস ফাইভেই মা’! ‘দিদি নম্বর ১’এ হাজির ‘ব্যতিক্রমী মা’, কাহিনী শুনে হতবাক খোদ রচনা
এদিকে হাসপাতালে ডক্টর স্মিথের (Doctor Smith) সঙ্গে কথা বলে রূপা। সে প্রথমে ডাক্তারবাবুর থেকে নিশ্চিত হয়, এই অপারেশন করলে সুস্থ হয়ে যাবে। এরপর রূপা ডক্টর স্মিথকে বলে, তার মায়ের কাছে এতগুলো টাকা নেই। সে দিতে পারবে না। কিন্তু আমি বড় হয়ে তোমার মতো ডাক্তার হবো। তখন আমারও অনেক টাকা হবে। আমি তখন তোমার সব টাকা শোধ করে দেব। এখন প্লিজ তুমি আমায় সারিয়ে দাও। তখনই সেখানে এসে উপস্থিত হয় অর্জুন (Arjun) এবং সে ডক্টর স্মিথকে সার্জারির টাকা দিতে চায়। তবে ডক্টর স্মিথ সেই টাকা ফিরিয়ে দেন।
তিনি বলেন, রূপার সঙ্গে তার একটা ডিল হয়েছে। ও বলেছে, বড় হয়ে আমার সব টাকা শোধ করে দেবে। তাই এখন সে কোনও টাকা দেবে না। সেকথা শুনে ভীষণ খুশি হয়ে যায় অর্জুন। এরপর অর্জুনের সঙ্গে কথা বলে রূপা। সে বলে, তার কিছু হয়ে গেলে অর্জুন যেন তার মা-কে বিয়ে করে। সে যেন দীপার খেয়াল রাখে। ওই মুহূর্তে রূপাকে শান্ত করতে হ্যাঁ বলে দেয় অর্জুন। এদিকে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনে ফেলে দীপা। এরপর রূপার অপারেশনের প্রস্তুতি শুরু করে ডাক্তার। এদিকে দীপা অর্জুনকে বলে তার সঙ্গে কিছু কথা আছে।