জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) প্রত্যেকটি পর্ব এখন দারুণ জমজমাট হচ্ছে। একদিকে দর্শকদের প্রিয় পুতুলের শারীরিক অবস্থা ভীষণ খারাপ। ছলবলে, প্রাণোচ্ছল স্বভাবের মেয়েটা আজ বিছানায় শয্যাশায়ী। অন্যদিকে বিনা দোষে জেল খাটছে শিমুল। এসবের মাঝেই চলে এল একেবারে হাইভোল্টেজ পর্ব।
ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, প্রতীক্ষার সঙ্গে হাতাহাতি হওয়ার পর থেকেই পুতুল বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শরীর খুব একটা ভালো না। সে খালি বউকে দেখতে চাইছে। পুতুলের এই শারীরিক অবস্থার কথা শিমুলকে জানিয়েছে বিপাশা। ননদের শরীর খারাপ শুনে শিমুলের (Shimul) মনটা ভীষণ উতলা হয়ে ওঠে। তবে জেলের মধ্যে থেকে তার পক্ষে করা কিছু সম্ভব নয়। তাই কেবল পুতুলদিকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকে সে।
আজকের পর্বে দেখা যাবে, পুতুলকে (Putul) দেখার পর চিকিৎসক মধুবালাকে বলেন, তার শরীরের পাশাপাশি মানসিক অবস্থারও অবনতি হচ্ছে। মানসিক দিক থেকে পুতুল বেশ ভেঙে পড়েছে। সেই দিকটারও খেয়াল রাখতে হবে। ডাক্তারবাবুর মুখ থেকে একথা শুনে রীতিমত চিন্তায় পড়ে গিয়েছে মধুবালা (Madhubala)।
আরও পড়ুনঃ পর্দায় প্রেমিককে কেড়েছে বোন! বাস্তবে কার সাথে প্রেম করছে ‘গীতা LLB’? নিজেই জানালেন অভিনেত্রী
মেয়ের মানসিক অবস্থার উন্নতি কীভাবে করা যায় সেটা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না পরাগের (Parag) মা। কারণ মধুবালা জানে, শিমুল ছাড়া পুতুলকে খুশি করে তোলা একপ্রকার অসম্ভব। সে ডাক্তারকে বলে, তার মেয়েটা এরকমই! একবার যাকে ভালোবেসে ফেলে, সে যদি দূরে চলে যায় তাহলে এভাবেই কষ্ট পেতে থাকে।
এরপর মধুবালা জানায়, পুতুল খাবারও খেতে চাইছে না। এটা শুনে ডাক্তারবাবু বলেন, যেভাবেই হোক ওকে খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার না খেলে ও সুস্থ হবে না। এরপর ফিস বাবদ ডাক্তারকে ৫০০ টাকা দিয়ে দেয় পরাগের কাকিমা। মধুবালা সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে চাইলেও কাকিমা তা নেয় না। যত দ্রুত সম্ভব পুতুলের পরীক্ষাগুলো করিয়ে তাকে রিপোর্ট দেখানোর কথা বলে সেখান থেকে চলে যান ডাক্তারবাবু।
আরও পড়ুনঃ রূপাকে বাঁচাতে ভিক্ষা চাইছে দীপা, তবুও মুখ ফেরালো নিষ্ঠুর লাবণ্য! ফাঁস চোখে জল আনা পর্ব
এরপর পরাগ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সে এত খরচ বহন করতে পারবে না। এমনিতেই প্রত্যেক মাসে মা আর বোনের খাবার খরচ তাকে দিতে হয়। ছেলের মুখ থেকে খাবারের খোঁটা শুনে মধুবালা বুঝে যায়, সে একেবারেই তাকে মানুষ করতে পারেনি। অন্যদিকে জেলের মধ্যে নিজের ব্যবহার আর প্রতিভার মাধ্যমে সকলের মন জয় করে নেয় শিমুল। তাকে দেখে কেউ বিশ্বাসই করতে পারে না সে কোনও খারাপ কাজ করতে পারে।