স্টার জলসার (Star Jalsha) মেগা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপার লড়াই যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। এতদিন নিজের সন্তানদের অধিকার পাওয়ার জন্য লড়ছিল সে। আর এখন ছোট্ট রূপাকে বাঁচানোর লড়াই লড়তে হচ্ছে তাকে। একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে রূপা। দীপা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করলেও এবার বোধহয় আর শেষরক্ষা হল না! আচমকাই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লো রূপা!
এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, রূপার অসুস্থতা সত্ত্বেও সেনগুপ্ত বাড়ির সম্মান রক্ষার্থে তিস্তাকে খুঁজতে বেরোয় দীপা। বাড়ির মেয়েকে ফিরিয়ে আনলেও সেনগুপ্ত বাড়ির সদস্যরা উল্টে দীপাকেই দোষারোপ করে। তিস্তার যাবতীয় ভুলের দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হয় তার ওপর। যে বাড়ির জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে দীপা (Deepa), তাকেই সেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতকিছুর পরেও রূপার (Rupa) মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে শক্ত রাখে সে।
আজকের পর্বে দেখা যাবে, তিস্তা (Tista) ভিক্টরকে বলছে, সে এভাবে বিয়েটা করতে চায়নি। সবার আশীর্বাদ নিয়ে ধুমধাম করে বিয়েটা করতে চেয়েছিল। সেকথা শুনে ভিক্টর (Victor) বলে, তিস্তাকে চিন্তা করতে হবে না। সে সবটা ঠিক করে দেবে। সেনগুপ্ত বাড়ির সেরা জামাই হয়ে ওঠার কথাও বলে ভিক্টর। তখনই ঘরে আসে পৃথা। সে তিস্তাকে বলে, রান্নাঘরে তার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা দেখতে। এরপর তিস্তা ঘর থেকে বেরনো মাত্রই শুরু হয় মা-ছেলের কথোপকথন।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর মুখে পুতুল, বিপদে পড়তেই শিমুলের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবে মধুবালা! ফাঁস তোলপাড় করা পর্ব
পৃথা বলে, যে কাজের জন্য ভিক্টর এতকিছু করেছে, এভাবে তিস্তাকে বিয়ে করেছে, সেই কাজটা যেন তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। কাজ হওয়ার আগেই যদি ভিক্টরের আসল রূপ সবার সামনে চলে আসে তাহলে কাঁচকলা ছাড়া আর কিছুই জুটবে না তার কপালে। তখন ভিক্টর মা-কে আশ্বস্ত করে বলে, আজই সেনগুপ্ত বাড়ি গিয়ে সে নিজের অধিকার বুঝে নেবে। সূঁচ হয়ে ঢুকে একেবারে ফাল হয়ে বেরোবে সে। শ্বশুরবাড়ির কেউ কিছু বুঝতেও পারবে না।
পৃথা-ভিক্টরের কথা শেষ হওয়ার আগেই সেখানে চলে আসে তিস্তা। কথোপকথনের শেষ কিছু কথা শুনে সে জিজ্ঞেস করে, তারা কী নিয়ে কথা বলছিল। এরপর দীপার প্রসঙ্গ উঠতেই তিস্তা বলে ওঠে, সে তাকে ঘৃণা করে। অন্যদিকে ভিক্টর তিস্তাকে নিয়ে আজই সেনগুপ্ত বাড়ি যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু তিস্তা বারবার বারণ করতে থাকে। আর তাতেই নিজের মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করে ওঠে ভিক্টর। প্রথমবার স্বামীর এমন রূপ দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে যায় তিস্তা। তার হাত থেকে খাবার পড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ‘এখনও ওকেই ভালোবাসি’, প্রাক্তন সোহিনীকে নিয়ে অকপট ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ নায়ক রণজয় বিষ্ণু!
অন্যদিকে দীপাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে রূপার চিকিৎসা জন্য টাকা জোগাড় করতে বিদেশে চলে যায় অর্জুন। এরপর রূপাকে নিয়ে অর্জুনের ঠিক করে দেওয়া ডাক্তারের কাছে যায় দীপা। রূপার শরীর আগে থেকেই বেশ খারাপ লাগছিল। কিন্তু সেই বিষয়ে সে কাউকে জানায়নি। কারণ রূপা জানতো শরীর খারাপ লাগছে শুনলেই দীপা তাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তা করবে। এরপর ডাক্তারখানায় পৌঁছনোর পর আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় রূপার। এরপর সে অজ্ঞান হয়ে যায়। আর কোনও সাড়াশব্দ দেয় না রূপা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে দেখতে ডাক্তার চলে আসে। ডাক্তার কী বলে? আচমকা কী হল রূপার? এখন সেটাই দেখার।