শতদ্রু যে গয়না চুরি করেনি তা সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুল। আসল দোষী পরাগ এবং প্রিয়াঙ্কাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিজের সততা প্রমাণ করার পর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিমুল। কিন্তু মধুবালার মুখের দিকে চেয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে পারলো না সে।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) নিয়মিত দর্শকরা জানেন, শতদ্রুকে গয়না চুরির অপবাদ দেওয়ার পরেই শিমুল ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল। সে শুধু আসল দোষীকে ধরার অপেক্ষায় ছিল। পরাগ-প্রিয়াঙ্কা ধরা পড়তেই শিমুল (Shimul) বাড়ি ছাড়ার তোরজোড় শুরু করে দেয়। তা দেখে কান্নাকাটি আরম্ভ করে মধুবালা।
আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, মধুবালা (Madhubala) বুঝতে পারে সে ভুল করেছে। কিন্তু এবার আর তার ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই। পরের দিন সকালে ব্যাগপত্র গুছিয়ে নীচে নেমে আসে শিমুল। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয় শতদ্রু (Shatadru)। শিমুল সবাইকে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ আশেপাশে থাকলেই বিপদ! কোন স্বভাবের জন্য বদনাম কোয়েল মল্লিক? জানলে সত্যিই অবাক হবেন
বৌমার মুখ থেকে একথা শুনে অবাক হয়ে যায় মধুবালা। শিমুলকে আটকাতে তার পা অবধি ধরে ফেলে পরাগের মা। আগামী পর্বে দেখতে পাবেন, শতদ্রু শিমুলকে বলছে ডিভোর্স না হওয়া অবধি সে যেন মধুবালার কাছেই থাকে। শিমুলও তার শাশুড়িকে বলে, সে তাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে। তাই আপাতত এই বাড়ি ছেড়ে সে কোথাও যাবে না।
তবে শিমুলের এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি হননি দর্শকদের একাংশ। এত কিছু হওয়ার পরেও শুধুমাত্র মধুবালার স্বার্থরক্ষার জন্য সে পরাগের বাড়িতে থেকে গেল। এটুকুই নয়, শতদ্রু পর্যন্ত তাকে সেখানে থাকার কথা বললো। এটা দেখে অনেকেরই খুব একটা ভালোলাগেনি।
আরও পড়ুনঃ সামনেই বিয়ে? আইবুড়োভাত খাচ্ছেন ‘মা’ সিরিয়ালের ছোট্ট ঝিলিক! ছবি ভাইরাল হতেই তোলপাড় নেটপাড়া
পাশাপাশি পলাশ-প্রতীক্ষাও রয়েছে সেখানে। পরাগ না থাকলেও পলাশ-প্রতীক্ষা দু’জন মিলে শিমুলের ক্ষতি করতে উদ্যত হতেই পারে। সেক্ষেত্রে তাদের যেন নিজে থেকে সেই ক্ষতি করার সুযোগ করে দিল শিমুল। আর সেই জন্যই তার সিদ্ধান্ত অখুশি দর্শকদের একাংশ।