শীতকাল (Winter) মানেই ছুটির মরসুম। বর্ষশেষের এই আবহে যেন কিছুতেই আর কাজে মন বসতে চায় না। মনটা কেবলই ঘুরতে (Travel) যেতে চায়। তবে হাতে বেশি ছুটি না থাকায় অনেকদূর যাওয়াও আবার অসম্ভব! অগত্যা বাড়ির কাছাকাছি কোনও ডেস্টিনেশনই ভরসা। আপনিও যদি শীতের আবহে কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি কোনও জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন। আজ আপনার জন্য তিলোত্তমার কাছের ৫টি দুর্দান্ত ঘুরতে যাওয়ার স্থানের (Winter Travel Destination) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
ডুয়ারসিনি (Duarsini)- সবুজের সমারোহে যদি শীতের ছুটি কাটাতে চান তাহলে চলে যেতে পারেন ডুয়ারসিনি। ছোট ছোট পাহাড়ে ঘেরা পুরুলিয়ার এই জায়গায় গেলে তৃপ্ত হয়ে যাবে আপনার শরীর-মন। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ হলে এখানে গেলে আপনার বেশ ভালোলাগবে। কোলাহল থেকে দূরে গ্রাম্য পরিবেশে কয়েকটা দিন যে কীভাবে কেটে যাবে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না।
বিষ্ণুপুর (Bishnupur)- পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত বিষ্ণুপুরেও শীতের ছুটি কাটাতে চলে যেতে পারেন। কলকাতা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই স্থান টেরাকোটার কাজ এবং বালুচরী শাড়ির জন্য বেশ বিখ্যাত। এখানে গেলে একাধিক জনপ্রিয় মন্দিরের দর্শনও হয়ে যাবে আপনার।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং ছাড়ুন! শীতে ঘুরে আসুন ওড়িশার এই অফবিট গ্রাম থেকে, চির স্মরণীয় ট্রিপ হবে গ্যারেন্টি
মন্দারমণি (Mandarmani)- শীতের ছুটিটা যদি সমুদ্রের তীরে কাটাতে চান তাহলে চলে যেতে পারেন মন্দারমণি। খোলা আকাশের নীচে বসে সমুদ্রের গর্জন শোনার অনুভূতিটাই আলাদা। কলকাতা থেকে প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মন্দারমণি তাই হতেই পারে আপনার উইন্টার ডেস্টিনেশন।
জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর (Jairambati & Kamarpukur)- বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলির মধ্যে একটি হল জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম কামারপুকুরে। অপরদিকে জয়রামবাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মা সারদা। এখানে গেলে আপনি অনুভব করতে পারবেন অন্তরের শান্তি!
আরও পড়ুনঃ বছর শেষে পিকনিকের প্ল্যান, কিন্তু যাবেন কোথায়? রইল কলকাতার কাছেই ১০টি সেরা পিকনিক স্পটের হদিশ
মায়াপুর (Mayapur)- ঈশ্বরের দর্শন করে যদি নিজের শীতের ছুটি কাটাতে চান তাহলে চলে যেতে পারেন মায়াপুরে। শ্রীকৃষ্ণ ভক্তদের অন্যতম প্রিয় স্থান এটি।
হুগলী এবং জলঙ্গী নদীর মাঝে অবস্থিত মায়াপুরে গেলে দেখতে পাবেন শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ঈশ্বরের দর্শন করতে করতে কীভাবে একটা গোটা দিন কেটে যাবে তা হয়তো আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না।