সূর্য-মিশকাকে এক বিছানায় দেখে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপার মন। অনেকদিন ধরে নিজের সঙ্গে নিজে লড়াই করছিল সে। ডাক্তারবাবুকে ভুলে কিছুতেই নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে পারছিল না। তবে এবার এই আঘাতের পর ঘুরে দাঁড়ালো দীপা। শুধু তাই নয়, নিজের জীবন থেকে সূর্যর সকল স্মৃতিও মুছে ফেলল সে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) গত পর্বে দেখা যায়, সূর্য-মিশকাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে দীপা। যদিও সবটাই ছিল মিশকার ষড়যন্ত্র। তবে দীপা সেটা বুঝতে পারে না। সূর্যর থেকে এত বড় আঘাত পেয়ে নিজের মধ্যে থাকা সকল ধৈর্য হারিয়ে ফেলে সে। এরপর দীপা (Deepa) ঠিক করে, আর কোনোদিন সে পিছন ফিরে দেখবে না।
আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, এতদিন না করলেও এবার ডিভোর্স পেপারে সই করে সূর্যর (Surjya) সঙ্গে নিজের যাবতীয় সম্পর্ক চুকিয়ে দেয় দীপা। এরপর বিয়ের অ্যালবাম থেকে নিজের এবং সূর্যর সব ছবি ছিঁড়ে ফেলে সে। পরের দিন তিস্তা এবং প্রবীর দীপার বাড়ি আসে। সোনা-রূপার (Sona Rupa) ফ্যামিলি ফেস্টে অংশগ্রহণ করতে চায় তারা। এরপর সবাই মিলে হইহই করে প্র্যাকটিস শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ ঠিক যেন রাজকন্যা, বলিউডের মত রাজকীয় স্টাইলে বাগদান সারলেন সন্দীপ্তা, রইল সমস্ত ছবির অ্যালবাম
কিন্তু প্রবীর লক্ষ্য করে, দীপার মধ্যে সেই আনন্দ নেই। সে কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে। তা দেখে প্রবীর তাকে আলাদা করে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে? এরপর বৌমার অবস্থা দেখে তিনি বলেন, সে যেন মন খুলে একটু কাঁদে তাহলেই এই মানসিক বোঝা থেকে মুক্তি পাবে।
অন্যদিকে নেশার ঘোর কাটতেই সূর্য বারংবার মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। মাঝে একবার দীপার ফোন থেকে সোনা তার বাবাকে ফোন করে ফেলে। কিন্তু দীপার ব্যবহার বুঝিয়ে দেয় সে এই বিষয়টা একেবারেই পছন্দ করছে না। সূর্য দীপাকে বলে, সোনা-রূপা তার মেয়ে। বাবা হিসেবে তাদের ওপর সূর্যর একটু হলেও অধিকার আছে। কিন্তু দীপা তার কোনও কথাই শোনে না।
আরও পড়ুনঃ ওজন বাড়তেই নোংরা কটাক্ষের শিকার! মধ্যমা দেখিয়ে নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষলেন নতুন মা শুভশ্রী
এসবের মাঝে ঊর্মি আবার অর্জুনকে (Arjun) বলে, সূর্য-দীপার সব সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। দীপা ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে। অর্জুন তখন বলে, একটা সই করে দেওয়া মানেই সবটা শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এরপর নিজের মনের কথা অর্জুনের কাছে খোলসা করে বলে ঊর্মি। সে জিজ্ঞেস করে, অর্জুন কি দীপাকে বিয়ে করে তাকে একটা নতুন জীবন উপহার দিতে পারবে না? সেকথা শুনে অর্জুন বলে, সোনা-রূপা তাদের বাবাকে ভীষণ ভালোবাসে। আর সে চায় না, তার জন্য ছোট্ট মেয়ে দু’টো সূর্যর থেকে আলাদা হয়ে যাক।