নায়ক হয়েও দিনের পর দিন ভিলেনের মতো আচরণ করে যাচ্ছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) সূর্য। বহু বছর প্রিয় বান্ধবীকে বিশ্বাস করে দীপাকে চরিত্রহীন ভেবেছিল সে। কয়েকমাস আগেই দু’জনের মধ্যেকার সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়। এখন ফের সেই মিশকার বুদ্ধিতে মেয়েদের ফিরে পেতে দীপার বিরুদ্ধে আদালতে যাবে সূর্য।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকটি যারা রোজ দেখেন তাঁরা জানেন, মিশকা এবং তার ছেলেকে কেন্দ্র করেই সূর্য-দীপার জীবনে যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত। লাবণ্য নাতিকে কাছছাড়া করতে চান না। যে কারণে সূর্য-দীপার ডিভোর্স করিয়ে দেন তিনি। এরপর স্বাভাবিকভাবেই সোনা-রূপাকে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়ি ছেড়ে চলে যায় দীপা। তবে এখন ছেলের পাশাপাশি সূর্যর দুই মেয়েকেও নিজের কাছে চাই।
ধারাবাহিকের (Bengali Serial) সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়, দীপার বাড়ি থেকে সোনা-রূপাকে আনতে যায় সূর্য-লাবণ্য। তবে দীপাকে (Deepa) পরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানায় তারা। একথা শুনে ঘোর প্রতিবাদ করে ছোট্ট সোনা-রূপা (Sona Rupa)। তারা জানিয়ে দেয়, যে বাড়িতে মায়ের কোনও জায়গা নেই সেখানে তারা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ গ্রাম থেকে শহরে এসেই বাইজি বাড়ি! প্রকাশ্যে শ্বেতা-রণজয়ের নতুন সিরিয়ালের প্রথম প্রোমো
মেয়েরা খালি হাতে ফেরানোর পর বাড়ি এসে চোটপাট শুরু করে সূর্য (Surjya)। আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, নিজের তছনছ হয়ে যাওয়া জীবনের জন্য মিশকাকে দোষ দিতে থাকে সূর্য। তখন ফের মিশকা (Mishka) তাকে কুবুদ্ধি দেওয়া শুরু করে। সে বলে, সূর্য চাইলে সোনা-রূপার কাস্টডি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। যেহেতু দীপার কোনও সোর্স অফ ইনকাম নেই তাই সে সহজেই আইনি পথে দুই মেয়ের কাস্টডি পেয়ে যাবে।
প্রিয় বান্ধবীর কথা শুনে আবার ভুল পথে পা বাড়ায় সূর্য। সে সোনা-রূপার কাস্টডি পেতে উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর সূর্যর বাড়ি ফেরার পর একথা জানতে পারে তার বাবা প্রবীর। ছেলের কাণ্ডকারখানার কথা শুনে তিনি ভীষণ রেগে যান। প্রবীর তাকে বেশ কয়েকটা থাপ্পড় মারার পর বলে, সে যা করছে তা চরম অন্যায়। আজ তার ভুলের সাজা দীপা এবং সোনা-রূপাকে পেতে হচ্ছে। যদিও বাবার কাছে মার-বকা খেয়েও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে সূর্য।
আরও পড়ুনঃ ‘সেই রাতে আমার…’! দাদাগিরিতে ‘ইচ্ছে পুতুল’র জিষ্ণুর কাছে গোপন কথা ফাঁস করলেন সৌরভ, রইল ভিডিও
অন্যদিকে দেখা যায়, দীপা যে উকিলের কাছে যাওয়ার কথা ভাবছিল, তিনি মারা গিয়েছেন। যে কারণে বেশ চাপে পড়ে যায় সে। এর মাঝে ঊর্মি আবার অর্জুনকে গিয়ে সবকিছু খুলে বলে এবং তার থেকে সাহায্য চায়। তখন অর্জুন ঊর্মিকে বলে, সে সর্বদা দীপার পাশে আছে। কিন্তু তাই বলে দীপার আত্মসম্মানে আঘাত করতে পারবে না। সেই জন্য সামনাসামনি গিয়ে তাকে সাহায্য করার কাজটা সে করতে পারবে না।