জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত পুরনো ধারাবাহিকগুলির (Bengali Serial) মধ্যে অন্যতম হল ‘খেলনা বাড়ি’ (Khelna Bari)। একটা সময় টিআরপি তালিকায় রাজত্ব করতো ইন্দ্র-মিতুলের সিরিয়াল। যদিও এখন রেটিং অনেকটা কমেছে। কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে এই মেগা। আর হাতেগোনা কয়েকদিনই ইন্দ্র, মিতুল, গুগলিদের পর্দায় দেখতে পাবেন দর্শকরা।
‘খেলনা বাড়ি’ এমন একটি ধারাবাহিক যেখানে নায়ক-নায়িকার পাশাপাশি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করা তারকারাও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এমনই একটি চরিত্র হল ‘অলকা’ (Aloka)। অভিনেত্রী পিয়ালি সাসমালকে (Piyali Sasmal) এই ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশ অফিসার অলকা হিসেবে দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিকে পিয়ালিকে দেখেছেন দর্শকরা। ‘সাঁঝের বাতি’, ‘সাহেবের চিঠি’, ‘গাঁটছড়া’র মতো সিরিয়াল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও আজ অভিনয়ের মাধ্যমে সারা বাংলায় পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। যদিও পিয়ালির এই সফরটা কিন্তু একেবারেই সহজ ছিল না। অনেক লড়াই করে আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ জিতে গেল মিশকা, দীপাকে ডিভোর্স দিয়ে নিজেকে শেষ করতে গেল সূর্য! ফাঁস আজকের তুলকালাম পর্ব
সম্প্রতি জনপ্রিয় একটি ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ‘খেলনা বাড়ি’র অলকা। অভিনেত্রীর ছেলেবেলা কেটেছে মালদায়। পড়াশোনার খাতিরেই কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। অভিনয় করার বিশেষ ইচ্ছা ছিল না পিয়ালির। মায়ের উৎসাহে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়ায় পা রাখেন। অভিনয় জগতের এই সফরে বাড়ির আর কেউ পাশে না থাকলেও পিয়ালির মা বরাবর তাঁর পাশে ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে মেঘের চরম সর্বনাশ করবে রূপ! টিভির আগেই ফাঁস আজকের ধুন্ধুমার পর্ব
পর্দার অলকা সাক্ষাৎকারে জানান, কলকাতার একটি কলেজে ভর্তি হতেই মায়ের সঙ্গে এক পিসির বাড়িতে থাকতেন তিনি। দু’দিন সেখানে থাকার পরেই পিয়ালিকে শুনতে হয়, তাঁর বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। আর পড়াশোনা করতে হবে না। পিসির বাড়ির সকলে তাঁদের থাকা নিয়ে আপত্তি করায় সেই রাতেই মা-কে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন পিয়ালি। রাস্তায় এসে দাঁড়ান দু’জনে।
এত সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও পিয়ালি নিজের পড়াশোনা বন্ধ করেননি। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, পড়াশোনার সঙ্গেই অভিনয় করায় তাঁর মা-কে পরিবারের সদস্যদের কাছে মার অবধি খেতে হয়েছে। কিন্তু তাও লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। আর সেই জন্যই আজ এতখানি সফল হতে পেরেছেন পিয়ালি।