জীবনে সুখ হতে গেলে অত্যাবশক টাকা রোগজার (Earn Money)। উপার্জনের জন্য সবার প্রথমেই ভালো একটা চাকরি খোঁজেই সকলেই। কিন্তু যতই ভালো চাকরি হোক না কেন, আদতে সেটা গোলামি। বদলে আপনি যদি ছোট করেও একটা নিজস্ব ব্যবসা (Business) খুলতে পারেন তাহলে সেটা একেবারেই আপনার। তাছাড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কিছু অতিরিক্ত আয় এলে ভালোই হয়। তাই আজ আপনাদের জন্য ৫টি দুর্দান্ত কম পুঁজির ব্যবসার আইডিয়া (Low Investment Business Idea) নিয়ে হাজির বংট্রেন্ড। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলি।
ঘরোয়া খাবারের হোম ডেলিভারি (Food Home Delivery) : বাড়ির মা কাকিমার রান্না করে রোজই পরিবারের সকলের পেট ভরাচ্ছেন। এই একই কাজ যদি আপনি সার্ভিস হিসাবে দিতে শুরু করেন তাহলেই নামমাত্র পুঁজিতে ভালো টাকা আয় হয়ে যেতে পারে। অনেকেই আজকাল হোম ডেলিভারিতে খাবার নেন। তাছাড়া যদি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের কাছে বাড়ি হয় তাহলে এই সার্ভিসের জন্য কাস্টমারেরও কোনো অভাব হবে না।
ট্যুর গাইড (Tour Guide) : ছুটিতে বেড়াতে যেতে কে না ভালোবসে বলুন তো? কিন্তু খরচ আর সংসারের চাপে তা আর হয়ে ওঠে কই! তবে আপনি যদি ঘুরতে যাওয়া নিয়ে ভালো মত রিসার্চ করে লোকেদের ঘোরাতে পারেন তাহলে মশাই আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ন সুযোগ। ছোট ছোট গ্রূপের গাইড হিসাবে আপনি লোকেদের চার্জ করতে পারেন। এতে আপনার ঘোরা যেমন ফ্রি হয়ে গেল তেমনি কিছু অতিরিক্ত আয়ও হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ৫০০০ দিয়ে মাসে মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত যায়, এই ব্যবসা করলে মালামাল হওয়ার গ্যারেন্টি!
কাস্টমাইজ গয়না (Custom Jewellery Design) : মহিলারা অনেকেই ছোটখাটো গয়না, কানের দুল বা সাজগোজের জিনিস তৈরী করে শিখেছেন। কিন্তু সেসব প্রায় ভুলতে বসেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকেই নিজেদের পছন্দ মত গয়না বানাতে ভালোবাসেন। তাই আপনি যদি গয়নার কাজ জানেন সেক্ষেত্রে বাড়ি থেকেই কাস্টমাইজ গয়না বানিয়ে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। এরপর নাম হয়ে গেলে নিজস্ব ব্র্যান্ডও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
নাচ, গান বা আকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Fine Arts Training School) : ছোট বেলায় অনেকেই আঁকা, গান বা নাচ শিখেছেন। কিন্তু বড় হয়ে কাজের চাপে সে সবের চর্চা ভুলতে বসেছেন প্রায়। এক্ষেত্রে আবারও একবার নিজের গুণ ঝালিয়ে নিয়ে স্কুল বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে পারেন। সপ্তাহে একদিন বা দুদিন নাচ/গান/আঁকা ভালো করে শেখাতে পারলে শুরু ছোট হলেও অল্প দিয়েই নাম হয়ে ভালো টাকা উপার্জন হবে।
ফেসবুক বা ইউটিউব চ্যানেল (Facebook Youtube Channel) : ডিজিটাল যুগে সবার হাতেই স্মার্টফোন, সাথে সস্তার ইন্টারনেট পাওয়ায় ছোট বড় সবাই এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে বুঁদ। ফেসবুক থেকে ইউটিউব চ্যানেলে একবার ভাইরাল হতে পারলেই মোটা টাকা আয় হয়ে যায় সহজেই। তাই চাইলে আপনিও চ্যানেল খুলে ফেলতে পারেন। তবে মাথায় রাখতে হবে দর্শকদের উদ্দেশ্যে ভালো মানের কন্টেন্ট বানাতে হবে।