গ্রীষ্ম, বর্ষা শেষ পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে উত্তুরে হাওয়া। নভেম্বরের সঙ্গেই এসে গিয়েছে শীতের (Winter) আমেজও। আর শীত এলেই অনেক মানুষের মন উড়ু উড়ু (Travel) করতে শুরু করে দেয়। নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন বহু মানুষ। আজ তাই হালকা শীতে ঘোরার মতো একটি অফবিট লোকেশনের (Offbeat Location) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
আজকের প্রতিবেদনে আমরা যে জায়গার খোঁজ নিয়ে এসেছি তা কলকাতার (Kolkata) ভীষণ কাছে অবস্থিত। সেই স্থানের নাম হল ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। তিলোত্তমার এই পড়শি রাজ্যেই রয়েছে ঘোরার মতো একাধিক জায়গা। হাতে কয়েকদিনের ছুটি থাকলেই বেরিয়ে পড়তে পারেন ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে। একাবার গেলে দেখবেন চাঙ্গা হয়ে গিয়েছে আপনার শরীর-মন।
কী কী দেখবেন?
ঝাড়খণ্ড এমন একটি জায়গা যেখানে দেখার মতো একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ হন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে রাঁচি। জঙ্গল, পাহাড়ে দিয়ে ঘেরা এই স্থানে গেলে দূর হয়ে যাবে আপনার সকল ক্লান্তি। পাশাপাশি এখানে গেলে প্রচুর জলপ্রপাতও দেখতে পাবেন আপনি।
রাঁচির পাশাপাশি এখানে পাত্রাতু ভ্যালিও রয়েছে। সবুজে ঘেরা এই স্থানকে অনেকে ‘দ্বিতীয় মানালি’ বলে থাকেন। এখানকার আবহাওয়া আপনাকে মানালির কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। রাঁচির মতো এখানেও পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনা সব কিছু পাবেন আপনি।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের কোলে ছবির মতো সুন্দর গ্রাম! এই অফবিট লোকেশনে একবার গেলে তৃপ্ত হবে শরীর-মন
এছাড়াও ঝাড়খণ্ড গেলে আপনি দেওঘর, ঘাটশিলা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। দেওঘর গেলে আপনি যেমন মন্দির দর্শন করতে পারবেন, তেমনই আবার রোপওয়ের আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন। অপরদিকে ঘাটশিলায় গেলে ঘুরে দেখতে পারবেন গৌরী কুঞ্জ, বুরুদিহ লেক, ফুলদুংড়ি পাহাড়, ধারাগিরি জলপ্রপাত।
এই জায়গাগুলি ছাড়াও ঝাড়খণ্ডে গেলে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন ধানবাদ এবং সিধু কানু পার্ক থেকে। ঐতিহ্যে ভরপুর সিধু কানু পার্কে গেলে কীভাবে সময় কেটে যাবে ধরতে পারবেন না আপনি। অপরদিকে ধানবাদে গেলে ঘুরতে পারবেন শক্তি মন্দির, পঞ্চেত বাঁধ, বামনগোড়া জলপ্রপাত থেকে। সব মিলিয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি কীভাবে আপনার ছুটিটা কেটে যাবে ধরতে পারবেন না নিজেও।