ঘুরতে (Travel) যেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভীষণ কঠিন। সারা বছর বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি করার পর কমবেশি প্রত্যেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এই একঘেয়েমি এবং ক্লান্তি দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ভ্রমণ। হাতে কয়েকদিনের ছুটি পেলেই তাই বাক্স-প্যাটরা গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন অনেকে।
তবে এখন চেনা পরিচিত জায়গার থেকে অফবিট লোকেশনের (Offbeat Location) জনপ্রিয়তা ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মধ্যে বাড়ছে। ইন্টারনেটে সার্চ করে এমন নানান অচেনা জায়গার খোঁজ করেন পর্যটকরা। আপনিও যদি কোনও অফবিট লোকেশনে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে আর ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে না। কারণ আজকের প্রতিবেদনে একটি মনোরম অফবিট লোকেশনের খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা।
আজ যে স্থানের হদিশ তুলে ধরা হয়েছে সেটি একটি অফবিট পাহাড়ি গ্রাম। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) কাছাকাছি অবস্থিত এই অপূর্ব স্থানের নাম হল সাকিয়ং (Sakyong)। অনেকে একে ‘ঝরনার রাজ্য’ও বলেন। এখানে প্রায় ৫০টির কাছাকাছি জলপ্রপাত রয়েছে। সেগুলির সৌন্দর্য দেখলে মোহিত হয়ে যাবেন যে কেউ।
আরও পড়ুনঃ একবার গেলে ভুলবেন দীঘা-পুরী! রইল কলকাতার কাছে ৫টি সেরা উইকেন্ড ডেস্টিনেশনের হদিশ
শহুরে কোলাহল থেকে দূরে কয়েকটা দিন পাহাড়ের নিরিবিলি পরিবেশে কাটাতে চাইলে চলে যেতেই পারেন সাকিয়াংয়ে। তবে বলে রাখি, সিকিমেও সাকিয়াং নামের একটি জায়গা রয়েছে। তবে আমরা উত্তরবঙ্গের সাকিয়াংয়ের খোঁজ নিয়ে এসেছি। এখানে একাধিক ঝরনা রয়েছে। একটা যেতে না যেতেই চোখে পড়ে আর একটা। পাড়ার গলির মতো ঝরনা রয়েছে এই ছোট্ট গ্রামে।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের কোলে ছবির মতো সুন্দর গ্রাম! এই অফবিট লোকেশনে একবার গেলে তৃপ্ত হবে শরীর-মন
ঝরনার পাশাপাশি এখানে আপনি ময়ূর এবং পাহাড়ি কাঁকড়াও দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গেই একটি ছোট্ট নদী রয়েছে এখানে, যার ওপর আছে একটি সেতু। এখানে নানান রকম প্রজাপতি এসে বসে। ইচ্ছা হলে এই ছোট্ট পাহাড়ি নদীতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে বসে থাকতে পারেন আপনি। কীভাবে সময় কেটে যাবে ধরতে পারবেন না।
কীভাবে যাবেন?
পেডং থেকে কাগে যাওয়ার রাস্তায় মাত্র ৩ কিলোমিটার মতো গেলেই পৌঁছে যাবে সাকিয়াং। এখানে থাকার জন্য রয়েছে একাধিক হোমস্টে। সেখানকার ভাড়াও সাধ্যের মধ্যে। পাশাপাশি খাবারও এত সুস্বাদু যে একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে।