শীতকাল মানেই বাংলায় বিয়ের সিজেন। আর বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় (Honeymoon) কোথায় যাওয়া হবে তা নিয়ে যুগলদের মধ্যে চলে বিস্তর চর্চা-আলোচনা থাকে তুঙ্গে। বাজেট ভালো থাকলে অনেকে বেরিয়ে পড়েন (Travel) গোয়া, মলদ্বীপের উদ্দেশে। আর বাজেট যদি একটু টাইট থাকে তাহলে হানিমুনের জন্য বেছে নেওয়া হয় কাছেপিঠের কোনও জায়গা। আপনিও যদি কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি কোনও মনোরম জায়গার খোঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন।
আজ আপনার জন্য যে স্থানের খোঁজ নিয়ে আসা হয়েছে তার নাম হল গোপালপুর (Gopalpur)। ওড়িশার (Odisha) গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত এই স্থান নিরবিলিতে ছুটি কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ। ভালোবাসার মানুষের হাতে হাত রেখে একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে আপনার ডেস্টিনেশন হতেই পারে গোপালপুর।
এখানে দীঘা-পুরীর মতো পর্যটকদের ভিড় নেই। পাশাপাশি সমুদ্রের ঢেউও ভালোই রয়েছে। গোপালপুরে গেলে আপনি যেমন সমুদ্রসৈকতে (Sea Beach) অনেকটা সময় কাটাতে পারবেন, তেমনই সেরে ফেলতে পারবেন জগন্নাথ দর্শকও। ইচ্ছা হলে আবার ঘুরে আসতে পারবেন ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ নামে খ্যাত দারিংবাড়ি থেকে।
আরও পড়ুনঃ বাজেটে ফিট ছুটিও সুপারহিট! নামমাত্র খরচে ঘুরে আসুন এই ৫ অপূর্ব লোকেশন থেকে, রইল ঠিকানা
কী কী দেখবেন?
গোপালপুরের মূল আকর্ষণই হল সমুদ্র। সি-বিচে বসেই দিনের অনেকখানি সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়া এখান থেকে খুব কাছেই রয়েছে বহু পুরনো লাইটহাউস। সেখান থেকে কতু দূরেই তারাতারিণী মন্দির এবং নির্মল ঝোরা। মন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন রম্ভা থেকেও। মনের মানুষের সঙ্গে নৌকাবিহার করতে মন্দ লাগবে না।
আরও পড়ুনঃ নেই দীঘা-পুরীর মত গাদাগাদি ভিড়! রইল কলকাতার কাছেই ৩ অপরূপ সুন্দর অফবিট সমুদ্র সৈকতের হদিশ
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বর যাওয়ার ট্রেনে চেপে চলে আসুন বেরহামপুর। সেখান থেকে ঘণ্টা খানেকের দূরত্বে অবস্থিত গোপালপুর। এছাড়া ইচ্ছে হলে সড়কপথেও যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগবে।
কোথায় থাকবেন?
ওড়িশা পর্যটন বিভাগের হোটেলে যদি থাকতে পারেন তাহলে খুব ভালোও হয়। তবে ঘুরতে যাওয়া সিজনে এখানে ঘর পাওয়া ভীষণ মুশকিল। সেই জন্য আগে থেকে বুক করে রাখলে সুবিধা। এছাড়া গোপালপুরে বিভিন্ন বাজেটের হোটেল আছে। একটু বেশি ভাড়া দিয়ে সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি ঘর পেয়ে যাবেন সহজেই।