জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকের (Bengali Serial) মেঘ এমন একজন মানুষ যে বরাবর নিজের শ্বশুরবাড়ির ভালো করতে চেয়েছে। তবে প্রত্যেকবার তাকে ভুল বুঝেছে স্বামী নীল। কষ্ট পেতে পেতে এখন মেঘের মন যেন একেবারে পাথর হয়ে গিয়েছে। সেই জন্য এবার আর শ্বশুরবাড়ি না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।
‘ইচ্ছে পুতুল’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, রূপের বাড়ি থেকে গিনিকে উদ্ধার করে আনার পর রাতারাতি গাঙ্গুলী বাড়ির সবার চোখে ভালো হয়ে গিয়েছে মেঘ। এমনকি নীলের মা মীনাক্ষী (Meenakshi) পর্যন্ত ময়ূরীকে ছেড়ে মেঘকে (Megh) ছেলের বৌ হিসেবে মেনে নিতে তৈরি হয়ে গিয়েছেন। অথচ কয়েকদিন আগে অবধি তিনি চাইতেন, মেঘ-নীলের (Neel) সংসার ভেঙে যাক। তবে এবার মীনাক্ষী ছেলের সংসার জুড়তে চাইলেও বেঁকে বসেছে মেঘ নিজে।
গত পর্বেই দেখা গিয়েছে, আইডি ভুলে যাওয়ার নাম করে মেঘকে গাঙ্গুলী বাড়ি অবধি নিয়ে গিয়েছে নীল। এরপর সেখানে গিনির সঙ্গে দেখা হয় মেঘের। রূপের হাত থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য ফের একবার কৃতজ্ঞতা জাহির করে গিনি। এরপর মেঘকে বাড়ির ভেতরে আসার অনুরোধ করে সে।
আরও পড়ুনঃ ‘বাঘা যতীন’র পর মহানায়ক। সত্যজিৎ রায়ের ছবির রিমেকে উত্তম কুমার হচ্ছেন দেব!
ননদের কথা ফেলতে না পেরে কিছুক্ষণের জন্য গাঙ্গুলী বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেঘ। এরপর বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়াতেই মেঘ দেখে বরণডালা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মীনাক্ষী। কিন্তু এদিন শাশুড়ির সেই বরণ প্রত্যাখ্যান করে মেঘ। এরপর নীলের ওপর প্রচণ্ড রেগে গিয়ে সে বলে, তুমি আবার আমায় ঠকালে। কেবলমাত্র নিজের স্বার্থপূরণের জন্য আমার সঙ্গে মিথ্যাচার করলে।
অন্যদিকে আবার মায়ের কাছে কাঁদতে দেখা যায় ময়ূরীকে। এতদিন ধরে মেঘের থেকে রক্ত পেয়ে বেঁচে আছে সে। বোন রক্ত ধার না দিলে অনেক দিন আগেই হয়তো ময়ূরী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তো। আজকের পর্বে মধুমিতার কাছে কাঁদতে কাঁদতে ময়ূরী বলে, আমার তো অনেকদিন আগেই চলে যাওয়ার কথা মা। আমার বেঁচে থাকার কোনও অধিকারই নেই। মেঘের থেকে জীবন ধার করে চলছি আমি।