সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়েছেন বহু মানুষ। এমনই একজন হলেন ডালহৌসি এলাকায় পাইস হোটেল চালানো নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায় (Mamata Ganguly) হলেও এখন তাঁকে ‘নন্দিনী দিদি’ অথবা ‘স্মার্ট দিদি’ (Smart Didi) নামেই চেনে বেশিরভাগ মানুষ। সম্প্রতি তিনিই নিজের জার্নি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমোশনাল হয়ে পড়লেন।
সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন অথচ নন্দিনীকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। নিত্যদিনই তাঁর কোনও না কোনও ভিডিও ভাইরাল (Viral) হতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজ হাজার হাজার মানুষ চেনে তাঁকে। তবে এই জার্নির পিছনে নন্দিনীর কতখানি কষ্ট-সংগ্রাম লুকিয়ে আছে সেটা কজন জানে? সম্প্রতি তা নিয়েই জোশ টকসে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
এখন বাবার পাইস হোটেল চালালেও নন্দিনী আদতে ফ্যাশান ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বাবার রবারের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সংসার চালাতে এই পাইস হোটেল খোলেন তিনি। শুরুর দিকে টেনেটুনে ২০-৩০ প্লেট খাবার বিক্রি হতো। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার পর ঘুরে যায় নন্দিনীর ভাগ্যের চাকা। আজ বিদেশ থেকেও লোক খেতে আসে তাঁর হোটেলে।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল থেকে দশমীর শুভেচ্ছা পর্দার ‘বাবুউউ’ রুবেলের, ছবি ভাইরাল হতেই চিন্তায় ভক্তরা
সম্প্রতি জোশ টকসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নন্দিনী জানান, লকডাউনের সময় তিনি কলকাতায় নয়, বরং গুজরাটে ছিলেন। সেখানে শেফের কাজ করছিলেন। তখন তাঁর বাবা একদিন ফোন করে জানায়, তার মায়ের শরীর ভীষণ খারাপ। এই খবর শোনামাত্রই সব কিছু ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন নন্দিনী। এরপর হাল ধরেন বাবার পাইস হোটেলের।
আরও পড়ুনঃ রচনার সাথে এক ফ্রেমে মদন মিত্র! ‘দিদি নম্বর ১’র কানে কানে কী বলছেন ‘কালারফুল বয়’?
স্মার্ট দিদির কথায়, তাঁকে দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন এমন স্মার্ট দেখতে, প্যান্ট-শার্ট পরা সুন্দরী মেয়ে কেন পাইস হোটেল চালাচ্ছে? বাবার অধরা স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই সেদিন হোটেলের ব্যবসায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নন্দিনী জানান, নোটবন্দির সময় তাঁর বাবার আগের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায়। লকডাউনের আগে সংসারের হাল ধরতে এই পাইস হোটেল খোলেন তাঁর বাবা।
ভাইরাল নন্দিনী দিদি বলেন, যে বাবা দুই মেয়েকে ফ্যাশান ডিজাইনিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছে, সেই বাবার দুর্দিনে তাঁর পাশে দাঁড়ানোটা মেয়েদের কর্তব্য। একই সঙ্গে তিনি বলেন, যে মানুষরা তার টাইট পোশাক পরা নিয়ে কুমন্তব্য করেন অথবা তাঁকে ‘হিজড়া’ বলে কটাক্ষ করেন তাঁদের মানসিকতা দেখলে তাঁর খারাপ লাগে।