দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষা শেষে উমা ফিরছে বাপের বাড়ি। আকাশে বাতাসে এখন পুজো পুজো (Durga Puja) গন্ধ ম ম করছে। বাড়ির সাবেকি পুজো থেকে পাড়ার থিম পুজো- সর্বত্র এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ব্যতিক্রম নয় ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িও (Mallick Family Durga Puja)। কিন্তু পুজো শুরু হওয়ার ঠিক আগেই বড় অঘটন ঘটে গেল রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick), কোয়েল মল্লিকের (Koel Mallick) বাড়িতে। সেই ঘটনার জেরে বেশ ভেঙে পড়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
কলকাতার অভিজাত পরিবারের পুজোগুলির মধ্যে একটি হল মল্লিক বাড়ির পুজো। প্রত্যেক বছর এই পুজো তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকেন খোদ রঞ্জিত মল্লিক। টলি সুন্দরী কোয়েলও পুজোর কয়েকটা দিন নায়িকাসুলভ আচরণ ছেড়ে বাড়ির পুজোর কাজে হাত লাগান। স্বাভাবিকভাবেই তাই মল্লিক বাড়ির পুজোয় নজর থাকে সকলের।
শোনা যায়, শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো প্রথম চালু করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ বসু মল্লিক। পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু মল্লিকের জন্মের পর মায়ের থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর মল্লিক বাড়িতে পুজোর প্রচলন শুরু হয়। এরপর থেকে প্রত্যেক বছর নিয়ম মেনে রঞ্জিত মল্লিকদের বাড়িতে দুর্গা পুজো হয়। চলতি বছরও এর অন্যথা হয়নি।
পুজোর তোরজোড় অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। মায়ের মূর্তি গড়াও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তবে শুক্রবার রাতে আচমকাই ঘটে যায় এক অঘটন। মাঝরাতে হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে মায়ের ডান হাত থেকে মূর্তির একাংশ। এরপর দমকলে খবর দেওয়া হলে তারা হোস পাইপ দিয়ে সম্পূর্ণ মূর্তি ধুয়ে দেন। তবে এই ঘটনার জেরে প্রচণ্ড মুষড়ে পড়েছেন রঞ্জিত মল্লিক।
জানা গিয়েছে, চলতি বছর প্রায় ২০ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি হয়েছিল। তবে মূর্তি নির্মাণে হয়তো কোনও ত্রুটি থেকে গিয়েছিল যে কারণে মায়ের ডান হাত সহ মূর্তির একটি অংশ ভেঙে পড়ে। সুবিশাল এই মূর্তি ঠিক মতো সাপোর্ট না পাওয়াতেই এমনটা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুজোর আগে এমন ঘটনা ঘটায় রঞ্জিত মল্লিক কেঁদে ফেলেছিলেন বলে খবর। বর্ষীয়ান তারকা এই বিষয়ে বলেন, ‘এত বছর ধরে আমাদের বাড়িতে পুজো হচ্ছে তবে আমার জীবনে এমন ঘটনা এই প্রথম। পরিস্থিতি দেখে সবার মন ভেঙে গিয়েছে। যারা মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন তাঁদের আর একটু সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তবে ফের নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে’।