স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ (Horogouri Pice Hotel)। দেখতে দেখতে প্রায় এক বছর হতে চললো এই সিরিয়াল শুরু হয়েছে। এখন যেখানে টিআরপির অভাবে দু-তিন মাসের মধ্যেই বহু মেগা শেষ হয়ে যায়, সেখানে প্রায় এক বছর ধরে বিনোদনের রসদ জোগাচ্ছে এই সিরিয়াল। বাস্তবভিত্তিক কাহিনী দেখিয়ে আদায় করে নিচ্ছে দর্শকদের প্রশংসা।
বাংলা সিরিয়াল মানেই পরকীয়া-কুটকচালিতে ঠাসা- অনেকেই এই ধারণা পোষণ করেন। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো একথা ঠিক। তবে এমন বহু সিরিয়াল (Serial) আছে যেখানে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। এমনই একটি ধারাবাহিক হল ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’। এখন যেমন সন্তানদের লড়াইয়ে মা-বাবা কীভাবে কষ্ট পায় সেই ট্র্যাক দেখানো হচ্ছে এই মেগায়।
‘হরগৌরী পাইস হোটেল’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, ইতিমধ্যেই শঙ্করদের বাড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। বাড়ির অর্ধেক অংশ পেয়েছে প্রভাকর এবং বাকি অংশ পেয়েছে শঙ্কর। তবে শুধু বাড়ি নয়, মা-বাবা দায়িত্বও দুই ছেলের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাবাকে দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছে শঙ্কর। অপরদিকে মা থাকছে প্রভাকরের কাছে।
আরও পড়ুনঃ দেবশ্রীর জন্য কাজ হারালেন স্বস্তিকা! ‘কেমিস্ট্রি মাসি’ নিয়ে বিতর্কের জেরে তোলপাড় টলিউড
সারাজীবন একসঙ্গে থাকার পর বৃদ্ধ বয়সে এসে আলাদা হয়ে গিয়েছে শঙ্কর-প্রভাকরের মা-বাবা। একে অপরের থেকে আলাদা থাকতে তাদের কতখানি কষ্ট হচ্ছে তা ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকে। আর সেই ট্র্যাক দেখেই চোখে জল এসে গিয়েছে দর্শকদের।
আরও পড়ুনঃ সন্ধ্যে নামলেই টিভিতে চলছে অ্যাডাল্ট সিন! ৩ সিরিয়াল বয়কটের দাবিতে সরব বাংলার দর্শকেরা
আসলে আমাদের সমাজে প্রায়ই সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে বিবাদ দেখা যায়। অনেক সময় সম্পত্তির সঙ্গে ভাগাভাগি হয়ে যায় মা-বাবার দায়িত্বও। এর ফলে বৃদ্ধ মা-বাবার ওপর কতখানি মানসিক চাপ পড়ে তা ভেবেও দেখে না সন্তানরা। সমাজের এই কঠিন সত্যিই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ নির্মাতারা।
ধারাবাহিকের এই দৃশ্য দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শকরাও। অতিরঞ্জিত সাংসারিক কুটকচালি না দেখিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্র দেখিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছে শঙ্কর-ঐশানীরা। ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ এভাবেই এগিয়ে যাক কামনা করছেন প্রত্যেকে।