পুজোর মুখেই মুক্তি পেতে চলেছে সৃজিত মুখার্জির সিনেমা ‘দশম অবতার'(Dawshom Awbotaar)। এই সিনেমার হাত ধরে দীর্ঘ ১২ বছর পর আরও একবার পর্দার প্রবীর রায় চৌধুরী হয়ে উঠতে চলেছেন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলে পরিচিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পার করে পুরনো চরিত্রের জন্য নিজেকে একেবারে নতুন রূপে ঘষে মেজে নিয়েছেন অভিনেতা।
প্রায় ১৩ বছর পর এই চরিত্রে আরো একবার অভিনয় করাটা ঠিক কতটা চ্যালেঞ্জিং? এই প্রশ্ন নিয়েই সম্প্রতি তাঁর কাছে হাজির হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এপ্রসঙ্গে এদিন প্রসেনজিৎ বলেছেন ‘হিসেব করলে ১৩ বছর, তবে আসলে প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা এটা। ২২ শ্রাবণ-এ প্রবীর রায় চৌধুরী মারা গিয়েছেন। সেই লোকটা কীভাবে ফিরবেন! এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই ট্রেলার দেখে কিছুটা হলেও বুঝতে পেয়েছেন। তবে সবমিলিয়ে আগের প্রবীর রায় চৌধুরীতে ফেরাটা চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। এখন সকলেই জেনেই গিয়েছেন, এই লোকটা যখন কোনও চরিত্র করে, তখন নিজেকে প্রচণ্ড ভাঙাচোরা করে।’
এরপরেই দুটি চরিত্রের মধ্যে পার্থক্যের কথা বলতে গিয়ে এদিন অভিনেতা বলেছেন ‘২২ শ্রাবণের প্রবীর রায় চৌধুরীর জীবনের প্রতি কোনও মোহ নেই। সে বাড়িতে বসে থাকে, ফ্রাস্ট্রেটেড, মদ খায়। আর দশম অবতারের প্রবীর রায় চৌধুরী কিন্তু ভীষণ অ্যাক্টিভ। তাই দুই প্রবীরের চেহারা কখনওই এক হতে পারে না।’
আরও পড়ুনঃ TRP কমতেই দুঃসংবাদ, পুজোর আগে গাঁটছড়া শেষ হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ‘দ্যুতি’ শ্রীমা
‘প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজেই ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বহুদিন ধরেই এই বিশ্লেষণটাই বসছে তাঁর নামের পাশে। কিন্তু এপ্রসঙ্গে এদিন খুব স্পষ্টভাবে অভিনেতা বলেছেন ‘আমি কিন্তু এটা কোথাও কখনও বলিনি। এটা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বলা। অরুণ চ্যাটার্জির ‘আই অ্যাম ইন্ডাস্ট্রি’ কথাটা অটোগ্রাফ থেকে ভাইরাল হয়েছিল। তার জন্য এটা বলা হয়।’ তবে এদিন প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন তিনি নিজেকে এখনও ইন্ডাস্ট্রির ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ বলেই মনে করেন। যাঁর কাজ হল ইন্ডাস্ট্রিটাকে বড় করা।
আরও পড়ুনঃ শয়তানি মিশকাকে টাইট দিতে সোনা-রুপাই যথেষ্ট, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ আগাম পর্ব দেখে খুশি দর্শকেরা
একটা সময় প্রসেনজিৎ মানেই ছিল হার্ডকোর কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমা। কিন্তু তিনি এখন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে ভেঙে চলেছেন। তাই আগামী দিনে তিনি এই ধরনের বাণিজ্যিক ছবিতে আবার কাম ব্যাক করবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে অভিনেতার সাফ কথা ‘মশলা ছবি বলতে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা আমি সম্মানের সঙ্গে পরের জেনারেশনের হাতে তুলে দিয়েছি। এটা খানিকটা ক্রিকেটের মতো, মানুষ রিজেক্ট করার আগে, সেখান থেকে সম্মান সরে যাওয়া ভালো। আমার এখন কোনও প্রতিযোগিতা নেই। তবে এমনও নয় যে কোনও বাণিজ্যিক ছবি করব না।’
অন্যদিকে বাবা হিসাবে প্রসেনজিৎ এদিন জানিয়েছেন তিনি চান তাঁর ছেলে তৃষাণজিৎ যেটাই করবে, সেটাই যেন নম্বর ওয়ান হয়। অভিনেতার কথায় ‘ওঁর যা ইচ্ছা করুক। ওই ঠিক করুক। আমরা পাশে আছি। তবে আমি বলে দিয়েছি সিনেমা করলে আমি প্রডিউস করব না, তৈরি করে দেব। তারপর লড়াই করো। কারণ আমাকে কেউ করে দেননি।’