বাংলা আর হিন্দির (Tollywood-Bollywood) পাশাপাশি এখন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও জাঁকিয়ে বসেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta)। প্রতিবারই ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরেছেন যীশু। যা দেখে রীতিমতো চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাঁর অসংখ্য অনুরাগীদের। একটা সময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে কাজ করলেও তাঁর প্রতিভার কদর করেনি টলিউড। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই বলেছিলেন সাউথ ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে সেই সম্মানটা ফিরিয়ে দিয়েছে।
সুদর্শন নায়ক যীশুকে দেখে একসময় সবাই বলতো তাঁকে এতটাই সুন্দর দেখতে যে তাঁর এই ভালো মানুষ চেহারায় নাকি খলনায়কের চরিত্র মানাবে না। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে প্রতিনিয়ত নিজেকে একজন শক্তিশলী চরিত্রাভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করে চলেছেন যীশু। তবে দুঃখের বিষয় একটাই বাংলা সিনেমার অভিনেতা হয়েও তিনি সেই কদর পাননি নিজের ইন্ডাষ্ট্রিতেই।
আগামী ১৯ অক্টোবর পুজোর আগেই মুক্তি পাচ্ছে যীশু অভিনীত ‘দশম অবতার’ সিনেমা। এই সিনেমার হাত ধরেই দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সৃজিত মুখার্জীর সিনেমায় অভিনয় করছেন যীশু। এই সিনেমায় তিনি একজন সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। কিছুদিন আগেই তাঁর সেই লুক দেখে চমকে গিয়েছিলেন সকলে। তবে শুধু বাংলায় নয় পুজোর আগেই ২০ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছেন যীশুর সাউথের সিনেমা ‘টাইগার নাগেশ্বর রাও’ (Tiger Nageshwara Rao)।
আরও পড়ুনঃ এতদিনে এন্ট্রি নিল ‘তোতা’র নায়ক! ‘জল থই থই ভালোবাসা’র নায়ককে দেখেই উচ্ছসিত দর্শকেরা
ঘোলাটে চোখ, কপালে গভীর ক্ষত আর শ্যামলা গায়ের রং সব মিলিয়ে হ্যান্ডসাম হিরো যীশুর এই অচেনা রূপ দেখে চমকে উঠেছেন আমজনতা থেকে সেলিব্রিটি সকলেই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সিআই মৌলি রূপে নিজের এই লুক শেয়ার করে যীশু লিখেছিলেন ‘আপনারা যদি ভেবে থাকেন অনেক বদমাইশ পুলিশ দেখেছেন, তাহলে দুঃখিত। আমাদের এখনও দেখা হয়নি’।
আরও পড়ুনঃ ঋতুপর্ণা-রচনার জন্য নায়িকা হতে পারিনি! সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটালেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় রয়েছেন সাউথের সুপারস্টার রবি তেজা। তাঁরই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে ধরা দিচ্ছেন যীশু। ভামসি পরিচালিত এই সিনেমায় যীশু ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের,নুপুর সানান,রেনু দেশাই-এর মত অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
জানা যাচ্ছে স্টুয়ার্টপুরাম-এর ‘বাগী’ টাইগার নাগেশ্বর রাও-এর গল্প বলবে এই সিনেমা। সত্তরের দশকের এই ডাকাতকে নিয়ে প্রচলিত রয়েছে বহু বীরগাথা। ধনীদের ধনসম্পত্তি লুট করে গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে জনদরদী ডাকাত হয়ে উঠেছিলেন গরিবদের রবিনহুড।