ডালহৌসির অফিস পাড়ার স্মার্ট দিদি (Smart Didi) নন্দিনীকে (Nandini Ganguly) কে না চেনে। তার স্পাইস হোটেলের জনপ্রিয়তা এখন বাংলা ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশেও। তাই অফিস পাড়ার এই ভাতের হোটেলের সামনে দিনভর থাকে লম্বা লাইন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই ব্যাপক জনপ্রিয় এই স্মার্ট দিদি নন্দিনীর পাইস হোটেল। যদিও সময়ের সাথে সাথে জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে এই নন্দিনীদের অহংকার।
এমনটাই দাবি নেটিজেনদের। তাই কেউ তাকে কটাক্ষ করে ‘রানু মন্ডল’ আবার কেউ বলেন ‘অহংকারী’। আসলে দোকানে আসা গ্রাহকদের সাথে তো বটেই নিজের বাবা-মার সাথেও ভীষণ চিৎকার করে রূঢ় ভাষায় কথা বলেন নন্দিনী। বয়স্ক বাবা-মা’র সাথে এই অশোভন ব্যবহার দেখে তার ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। বাবা মায়ের সাথে এই খারাপ ব্যবহার প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক ভ্লগারের কাছে মুখ খুলেছিলেন নন্দিনী।
ফুডি ভাই নামের ওই ভ্লগারকে নন্দিনী বলেছেন, ‘সকাল থেকে দেখছিস আমার মা বকার পর বকা খাচ্ছে, দোষগুলোও দেখতে পাচ্ছিস। বকা আমিও খাই। কিন্তু সমস্যাটা হল লোকেদের ভিউজ চাই, ফুটেজ চাই। তাই তারা সেইটুুকুই তোলে যেখানে আমি বলছি। আসলে কী হচ্ছে কেউ জানে না।’
প্রসঙ্গত এই স্মার্ট দিদির বিরুদ্ধে এখন অধিকাংশ মানুষেরই অভিযোগ ব্যবসার উন্নতির সাথে সাথেই তার এখন বিরাট ‘ঘ্যাম’ বেড়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে নন্দিনীর সাফ জবাব ‘এটা আমার বিজনেসের জায়াগা। কেউ এসে নিজের প্রফিট লাইন খোঁজে, আর আমার প্রফিট লাইন না দেখে, তাহলে তো আমি রাগ করবই।’
এরপরেই নিজের বাবা-মা’কে বকাঝকা করার প্রসঙ্গে নন্দিনী বলেছেন ‘আমার বাবা-মা যখন আমাকে প্রফিট দিচ্ছে না বা ভুলভ্রান্তি করছে তখন বকা দিচ্ছি। তাহলে অন্যরা তো বকা খাবেই।’ কোরোনা কালেই ভিন রাজ্যের চাকরি ছেড়ে বাবা-মায়ের ব্যবসার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন নন্দিনী। ৩০ থেকে এই দোকানের খোদ্দের বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ জন। তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেই খুব তাড়াতাড়ি ওপেনিং হতে চলেছে নন্দিনী দিদির পাইস হোটেলের নতুন শাখা।