সন্তান শোকে ভেঙে পড়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মোনালি ঠাকুর (Monali Thakur)। এতদিন যাকে সন্তান স্নেহে বড় করে তুলেছিলেন আজ তিনি আর তাঁর সাথে নেই। গত ৯ সেপ্টেম্বর গায়িকাকে ছেড়ে চিরঘুমের দেশে চলে গিয়েছেন তাঁর প্রাণপ্রিয় সন্তান ডাইচি। তারপর থেকেই একেবারে মুষড়ে পড়েছেন গায়িকা। অনেক চেষ্টা করেও তিনি কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না সন্তান হারানোর শোক।
ছেলের কথা মনে পড়তেই নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে মোনালির। সম্প্রতি তাকে উদ্দেশ্য করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তার সাথে কাটানো মিষ্টি মুহূর্তের একটি ভিডিও শেয়ার করে নিয়েছেন গায়িকা। এই দীর্ঘ পোস্টে এদিন প্রানপ্রিয় ডাইচির উদ্দেশ্যে মোনালি লিখেছেন ‘আমার রক্ষাকর্তা, আমার সোনা, আমার ডাইচি, তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে গত ৯ সেপ্টেম্বর। এই সত্যিটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে আমার।’
এরপরেই ডাইচির উদ্দেশ্যে মোনালি লিখেছেন ‘আমি চেষ্টা করছি ওর অনুপস্থিতি মেনে নিতে। পারছি কই? আমি মনে করতাম আমি একজন শক্ত মনের মানুষ যে কিনা নিজের হতাশাকে জয় করতে পারে। কিন্তু ছেলেকে ছাড়া আমার বড় অসহায় লাগছে। আমি বুঝতে পারছি না কী করা উচিৎ।’
আরও পড়ুনঃ সূর্য-দীপার মহামিলনের বাজিমাত! জব্বর টেক্কা জগদ্ধাত্রী-ফুলকির, রইল চমকে দেওয়া TRP তালিকা
এরপরেও এক নিঃশ্বাসে মোনালি লিখেছেন,’মানুষজন মাঝেমধ্যেই বলেন, তাঁরা নাকি আমার মধ্যে একজন বাচ্চাকে দেখতে পান। একজন দয়ালু মনোভাবের সান্নিধ্য পান। আমার সঙ্গে থেকে তাঁরা খুশি বোধ করেন। কেন জানেন? কারণ ডাইচিকে আমি অনুসরণ করে এসেছি। ওই আমায় শিখিয়েছে কীভাবে ভালবাসতে হয়। কীভাবে দয়ালু হতে হয়… কীভাবে ভাল ও খারাপের মধ্যে ভেদাভেদ করতে নেই। কীভাবে সত্যিকারের বন্ধু হওয়া যায়!’
আরও পড়ুনঃ পর্দার থেকেও কঠিন বাস্তবের ছোটবেলা, ‘মা’ সিরিয়ালের ঝিলিকের কাহিনী সত্যিই চোখে জল আনার মত
এখানে বলে রাখি ডাইচি মোনালির নিজের সন্তান না হলে হলেও তিনি তাকে নিজের সন্তানের থেকে কোন অংশে কম ভালোবাসেনি। আসলে এই ডাইচি হল মোনালির প্রাণপ্রিয় পোষ্য, যাকে নিজের সন্তানের মতই স্নেহ করতেন। এই চারপেয়ে পোষ্যকে হারিয়েই শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন মোনালি।
View this post on Instagram
এদিন ডাইচিকে নিজের বেঁচে থাকার কারণ বলে উল্লেখ করে মোনালি লিখেছেন ‘কোনদিনও আমার মধ্যে কোনও নেতিবাচক মনোভাব কেউ আনতে দেয়নি। সব সময় অন্ধকারকে ভালবাসা দিয়েও জয় করেছে। আমি বেঁচে আছি কারণ, ওই ছিল আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ। আমাকে এই জীবন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ডাইচি। আমি তোমার মতো ভালবাসা ছড়ানোর চেষ্টা করব। আবার আমাদের দেখা হবে। ততদিন তুমি খুব ভাল থেকো সোনা, আমার বেবি, টেক কেয়ার’।