টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) মা হওয়ার খবরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘আমি আর আমার স্বামী প্রেগন্যান্ট’ এই একটা লাইন পড়েই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছিল একের পর এক প্রশ্ন। শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সকলেই জানতে চেয়েছিলেন তাঁর বিয়ে কবে হলো? আবার কারও প্রশ্ন ছিল তার সন্তানের বাবা কে?
কিন্তু তখনও পুরোপুরি বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেউই। গতকাল এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি ঋতাভরীর। তবে এদিন অনুরাগীদের মনের সমস্ত ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়ে অভিনেত্রী নিজেই খোলসা করলেন আসল ঘটনা। বেবিবাম্পের ছবি প্রকাশ্যে এনে জানালেন তাঁর সন্তানের বাবার নাম। তবে ঋতাভরী মা হচ্ছেন ঠিকই কিন্তু রিয়েল লাইফে নয় রীল লাইফে।
আসলে খুব তাড়াতাড়ি ওয়েব সিরিজের জগতে ডেবিউ করতে চলেছেন তিনি। ঋতাভরীর সেই আসন্ন ওয়েব সিরিজের নাম ‘নন্দিনী’। সায়ন্তনী পুততুন্ডর লেখা ‘নন্দিনী’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী আড্ডা টাইমসের এই সিরিজে ঋতাভরী একজন গর্ভবতী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এদিন এই ওয়েব সিরিজের পোস্টার শেয়ার করে সেই কথাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ দুর্জয়ের ভরসায় ডাক্তার হতে বাড়ি ছেড়ে চরম বিপদে রানী! টিভির আগেই ফাঁস মহাধামাকা প্রোমো
ঋতাভরীর কথায় ‘সকলকে অনেক ধন্যবাদ এই মিষ্টি শুভেচ্ছার জন্য। আমি স্নিগ্ধা, আমি আর আমার স্বামী ঋতম রায়চৌধুরী অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমরা প্রেগন্যান্ট। আপনাদের সবার ভালোবাসা, আর্শীবাদ চাই আমাদের সন্তানকে বাঁচাতে।’ সেইসাথে অভিনেত্রীর আরও সংযোজন ‘আমার ডেবিউ ওয়েব সিরিজ নিয়ে আগামী ১৫ই অক্টোবর আড্ডা টাইমসের পর্দায় আসছি, এক অন্তঃসত্ত্বা মা আর তার হবু সন্তানের লড়াইয়ের গল্প নিয়ে’।
আরও পড়ুনঃ গোটা মুখে ক্ষতচিহ্ন, মাথায় রুক্ষ চুল, ‘বাঘা যতীন’ এর লুকে দেবকে দেখে অবাক নেটিজেনরা
জানা যাচ্ছে এই আসন্ন ওয়েব সিরিজটির পরতে পরতে রয়েছে রহস্য আর রোমাঞ্চ। ঋতাভরীর কথায়, ‘একের পর এক রহস্যের সমাধান করতে হবে, যা আগে কখনও দেখেননি। আপনাদের অনুমান করে যেতে হবেই শেষ পর্যন্ত’। মীর ফলক পরিচালিত এই সিরিজে ঋতাভরীর নাম হয়েছে স্নিগ্ধা। খুশির আবহের মাঝেই চিকিৎসক তাঁকে গর্ভপাত করাতে বলবে।
অন্যদিকে ভীষণ রহস্যজনক ভাবে ফোন আসতে থাকে স্নিগ্ধার কাছে। তাঁর গর্ভস্থ সন্তানই তাঁকে এমন রহস্যজনক ভাবে ফোন করে! কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নাকি দর্শককে একেবারে শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে।