বাংলা সিনেমার (Tollywood) স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী হলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee)। কলকাতা দেখার ইচ্ছা নিয়েই দেশভাগের পর প্রথমবার এপার বাংলায় এসেছিলেন অভিনেত্রী। আদতে খুলনার মেয়ে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় দেখতে দেখতে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে পার করে ফেলেছেন ৬০ বছরের বেশি সময়। দীর্ঘদিনের এই অভিনয় জীবনে বাংলা সিনেমার অনেক চড়াই উৎরাইয়ের সাক্ষী তিনি নিজেও।
কলকাতায় আসার পর একসময় অনেক স্ট্রাগল করেছিলেন তিনি। একটা সময় এমনও দিন গিয়েছে যখন ইঁটের ওপরে শুয়ে কাটিয়েছেন তিনি। তবে সিনেমা দেখতে খুব ভালোবাসতেন তিনি। তাই ইচ্ছা ছিল কাননবালা হওয়ার। এরপর একসময় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই বাংলাদেশী উদ্বাস্তু চরিত্রে অভিনয় করেই প্রথম নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল তাঁর। তখন ক্লাস সেভেনে পড়তেন তিনি।
তারপর প্রথম বাংলা সিনেমা ‘পাশের বাড়ি’তে অভিনয় করেই প্রথম ডেবিউ করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে অধিকাংশ সিনেমাতেই তিনি নায়িকা হয়েছেন মহানায়ক উত্তম কুমার এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Uttam Kumar & Soumitra Chatterjee)। তবে বেশিরভাগসিনেমাতেই তাঁর নায়ক ছিলেন উত্তম কুমার। কিন্তু উত্তম কুমারের সাথে যখনই তিনি অভিনয় করতেন তখনই তাঁকে তার চোখের দিকে তাকাতে বারণ করতেন মহানায়ক।
আরও পড়ুন: সিরিয়ালে সেরা শ্বাশুড়ি-বৌমা জুটি! বাস্তবে সম্পর্ক কেমন? মুখ খুললেন পর্দার বিজয়া মাঠান
কারণ তিনি মহানায়কের চোখের দিকে তাকালেই নাকি তার তিনি তাঁর পাঠ ভুলে যেতেন। কিন্তু আজীবন নিজে অবিবাহিত থেকে গিয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কেন? ইতিপূর্বে একাধিকবার একাধিক সাক্ষাৎকারে অনেকেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে একবার দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
সেখানেই তাঁকে সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন ‘বিয়ে করলে না কেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতেই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন ‘যখনই যাঁর সঙ্গে প্রেম করতে যাই, তখনই তাঁর একটা করে বৌ থাকে। জীবনে কাউকে খালি পেলাম না। এখনও যদি কোনও লোককে খালি পাই বিয়ে করে নেব।’ মজার মানুষ সাবিত্রী দেবীর মুখে এই কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন মঞ্চে উপস্থিত রচনা বন্দোপাধ্যায় সহ মাধবী মুখোপাধ্যায়,রত্না ঘোষাল, এবং চিত্রা সেনের মতো অভিনেত্রীরাও।