Kumar Shanu on National Award : বাঙালি তথা গোটা বাংলার গর্ব তিনি। কুমার শানুর (Kumar Sanu) নাম শোনেনি এমন সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। নব্বইয়ের দশকে বলিউড (Bollywood) কাঁপানো গায়কদের মধ্যে অন্যতম হলেন এই বঙ্গ তনয়। তাঁর সুরেলা কণ্ঠের ‘দিওয়ানা’ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। শানু যে কত আইকনিক গান গেয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না।
চার দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক নামী সুরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন শানু। সঙ্গীতপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’র মতো কালজয়ী গান। নিজের সঙ্গীত প্রতিভার জোরে জিতেছেন একাধিক নামি-দামি পুরস্কার। তবে এত কিছুর মাঝেও রয়ে গিয়েছে একটা ‘না পাওয়া’। চার দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে একবারও জাতীয় পুরস্কার (National Award) জেতেননি এই বঙ্গ তনয়।
শ্রোতাদের থেকে অগাধ ভালোবাসা পেলেও, সরকারের তরফ থেকে শানুকে তেমন কোনও সম্মানে সম্মানিত করা হয়নি। গত মাসের শেষের দিকে চলতি বছরের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই বছর সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গারের (পুরুষ) খেতাব জেতেন ‘আরআরআর’ ছবির অস্কারজয়ী ‘নাটু নাটু’ গানের গায়ক কালা ভৈরব। অপরদিকে মহিলাদের বিভাগে এই সম্মান পান বঙ্গ তনয়া শ্রেয়া ঘোষাল। বাংলার মেয়েকে এই সম্মান পেতে দেখে গর্বে বুক ভরে গিয়েছে শানুর।
আরও পড়ুনঃ বেঁচে থাকলে কেমন দেখাতো ‘মহানায়ক’কে? AI-র তৈরী উত্তম কুমারের ছবি দেখে বিস্মিত নেটপাড়া
তবে নিজে একবারও জাতীয় পুরস্কার না জেতার আক্ষেপও রয়েছে তাঁর মনে। সম্প্রতি এই নিয়ে কথা বলতে গিয়েই অভিমানের সুর শোনা যায় গায়কের গলায়। শানু বলেন, ‘আমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। পদ্মভূষণও পাওয়া উচিত ছিল। আমি এখন আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। তবে খারাপ তো লাগেই, কষ্টও হয়। তবে আমি এখন এটাও বুঝি যে সেরকম তেল দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে এসব পুরস্কার পাওয়া যায় না’।
আরও পড়ুনঃ তৃণা থেকে শোলাঙ্কি, ছোটপর্দা থেকে শুরু করে আজ ওয়েব দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন এই ৬ টেলি নায়িকা
শানুর সংযোজন, ‘আজকাল সবাই এটা বোঝেন। সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে শ্রোতারাও পুরস্কারের নেপথ্যে হওয়া কারসাজির বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে চললেই এখন পুরস্কার জেতা যায়’। প্রসঙ্গত, জাতীয় পুরস্কার অথবা পদ্মভূষণ না জিতলেও ২০০৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন শানু। কিন্তু কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীন জাতীয় পুরস্কার জিততে পারেননি তিনি। সেই সম্মান কি তাহলে অধরাই থেকে যাবে? উত্তরে গায়ক বলেন, ‘সরকার আমায় যদি কখনও যোগ্য মনে করে তাহলে দেবে। নাহলে আমি কী করব!’