Shahrukh Khan Sister Shehnaaz : বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখ খানকে (Shah Rukh Khan) নিয়ে সংবাদমাধ্যমে চর্চা লেগেই থাকে। তাঁর কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনুরাগীদের প্রবল আগ্রহ রয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে বি টাউনের এই সুপারস্টারের পরিবারের এমন এক সদস্যের বিষয়ে তুলে ধরা হল যাকে হয়তো অধিকাংশ মানুষই চেনেন না। আর সেই সদস্য হলেন শাহরুখের দিদি শেহনাজ লালারুখ খান (Shehnaz Lalarukh Khan)।
শেহনাজ বিয়ে করেননি। তিনি শাহরুখ, গৌরীদের সঙ্গে ‘মন্নত’এই থাকেন। সাধারণত ক্যামেরার সামনে আসেন না তিনি। তবে ‘কিং খান’এর ছোট ছেলে আব্রামের ষষ্ট জন্মদিনে প্রথম ক্যামেরাবন্দি হন শেহনাজ, এরপর থেকেই তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়তে থাকে। এত বড় সুপারস্টারের দিদি (Shah Rukh Khan sister) হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি পর্দার আড়ালে থাকেন উঠতে থাকে সেই প্রশ্নও।
শাহরুখ এবং তাঁর দিদি শেহনাজ খুব অল্প বয়সেই মা-বাবাকে হারান। ১৯৮১ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শাহরুখের বাবা। সেই সময় অভিনেতার বয়স মাত্র ১৫ বছর। জানা যায়, ছোট বয়সে নিজের চোখের সামনে বাবার মৃত্যু দেখার পর মানসিক স্থিতাবস্থা হারান শেহনাজ। তিনি নাকি মানসিকভাবে এতখানি আঘাত পেয়েছিলেন যে টানা ২ বছর কারোর সঙ্গে কথা বলেননি। এমনকি বাবার মৃত্যুর পর নাকি এক ফোঁটা চোখের জলও ফেলেননি তিনি।
আরও পড়ুনঃ ১৯ বছরের ছোট হয়েও শাহরুখের মা! ‘জওয়ানে’ শাহরুখ খানের সুন্দরী মায়ের আসল পরিচয় জানেন?
একবার এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেছিলেন, তাঁর দিদির অবস্থা এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছিল যে চিকিৎসকেরা তাঁর বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ‘বাদশা’র কথায়, ‘ও কেবল তাকিয়ে থাকতো। কাঁদত না, একটা কথাও বলত না। ও একবার পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিল। এরপর ২ বছর কোনও কথা বলেনি, কাঁদেনি। শুধুমাত্র একদৃষ্টে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতো। মনে হতো যেন ওঁর সম্পূর্ণ পৃথিবীটাই বদলে গিয়েছে’।
‘কিং খান’ জানান, দিদিকে সুস্থ করার জন্য চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁরা সাফ বলে দিয়েছিলেন, এতখানি হতাশাগ্রস্থ মানুষকে বাঁচানো অসম্ভব। অভিনেতার কথায়, ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’র শ্যুটিংয়ের সময় তিনি শেহনাজকে নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। সুইজারল্যান্ডে ছবির শ্যুটিং চলছিল, তখন শাহরুখ দিদিকে সেখানে নিয়ে যান চিকিৎসা করানোর জন্য। শোনা যায়, শাহরুখ যখন ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’এর শ্যুটিং করছিলেন, তখন তাঁর দিদি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন।
শেহনাজের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে শাহরুখ বলেছিলেন, বাবার মৃত্যুর ধাক্কাটা তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর ১০ বছর পর প্রয়াত হন শাহরুখের মা। তখন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। মা-বাবার মৃত্যুর পর থেকে দিদিকে আগলে রেখেছেন শাহরুখ। এখনও শেহনাজের যাবতীয় দেখভাল করেন শাহরুখ এবং গৌরীই।