Shimul gets insulted in her Own House : জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকে একজন মেয়ের জীবন সংগ্রামের কাহিনী খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। অনেক দর্শকই এই ধারাবাহিকের সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিমুল (Shimul)। তবে এবার সে সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসে। কিন্তু নিজের বাড়ি ফিরেও সে ক্রমাগত লাঞ্ছিত হচ্ছে।
ধারাবাহিকের (Bengali Serial) সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, শিমুল বাপের বাড়ি ফিরে আসায় তার মা প্রশ্ন করে, সে কেন এখানে চলে এল? পরাগ এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে বলেও জানায়। তখন শিমুল বলে, এসব কিছু করার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত তার শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে থাকার কথা বলেছিল। কিন্তু সে শোনেনি।
একথা শুনেই তেলেবেগুলে জ্বলে ওঠে শিমুলের বড় বৌদি। সে জিজ্ঞেস করে, শ্বশুরবাড়ির লোক থাকার কথা বললেও কেন সে থাকেনি? জবাবে শিমুল বলে, সে যদি এমন শ্বশুরবাড়ি পেত, তাহলে বুঝতে পারতো। যাকে থাকতে হয় সে-ই সবটা বোঝে। ননদের উত্তর শোনার পর আবার শিমুলের বড় বৌদি বলে, এতদিন তার মেয়ে শিমুলের ঘরে থাকতো, নাচ শিখতো, পড়াশোনা করতো। কিন্তু এখন কী হবে? ফের সবাইকে এক ঘরে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ রূপে-গুণে মানালিও ফেল! রইল ‘কার কাছে কই মনের কথা’র পরাগের বাস্তবের স্ত্রীর ছবি সহ পরিচয়
বড় বৌমার কথা শুনে শিমুলের মা পাল্টা বলেন, এই বাড়ির মালকিন তিনি এবং তার বাড়িতে তিন সন্তানের জন্য আলাদা ঘর বরাদ্দ করা আছে। তার তিন সন্তান সেখানেই থাকবে। এরপর ছোট বউ কিছু বলতে গেলে বড় বউ তাকে শিমুলের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে। সে হাসিমুখে ননদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের মন্ডপেই কিডন্যাপ বৌ! নতুন লুকে কামব্যাক ফড়িংয়ের, প্রকাশ্যে ‘মিলি’র ধামাকাদার প্রোমো
অপরদিকে বিপাশা, সুচরিতারা পরাগদের বাড়ি এসে শিমুলের খোঁজ করে। শিমুল চলে যাওয়ার কথা শুনে সকলেই রেগে যায়। তা দেখে পরাগ এবং তার মা উল্টে বিপাশাদের ওপর চিৎকার করে। মুখের ওপর বলে, এটা তাদের বাড়ির ব্যাপার। সেকথা শুনে শিমুলের বান্ধবীরাও বলে, এটা আর তাদের বাড়ির ব্যাপার নেই। এবার তারা এই বিষয়ে পাড়ার লোকজনকে জড়াবে, এমনকি থানাপুলিশও করবে।
অপরদিকে কাজের খোঁজে শিমুল তার এক বান্ধবীর কাছে যায়। কিন্তু সেই বান্ধবী কাজের কথা না বলে পুরনো প্রেমের প্রসঙ্গ তোলে। সে বলে, শতদ্রু ওর পাশে থাকতে পারতো, কিন্তু ও থাকতে দেয়নি। সেকথা শুনে শিমুল বলে, সে নিজেই থাকেনি। যদি থাকতো তাহলে এসব কিছুই হতো না। সেই সঙ্গেই বলে, যদি তার বাবা কোনও কাজের সন্ধান দিতে পারে তাহলে যেন জানায়, নাহলে এসব কথা যেন সে না বলে। সবার কাছে এত অপমানিত হতে হতে শিমুল আক্ষেপের সুরে বলে, মাঝে মাঝে তার মনে হয় মেয়ে হয়ে জন্মানোর থেকে মরে যাওয়া ভালো। এত লাঞ্ছনা সহ্য করার পর শিমুল কীভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ায় আপাতত সেটা দেখার অপেক্ষাতেই রয়েছেন দর্শকরা।