Television Award 2023 : ভেবেছিলেন একে অপরের ‘জীয়নকাঠী’ হয়েই থেকে যাবেন একসাথে থাকবেন আজীবন। কিন্তু ওই যে কথায় আছে সব চাওয়া, পূরণ হয় না! তাই গত বছরের ২০ নভেম্বর ভালোবাসার গল্পটা অসম্পূৰ্ণ রেখেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন সকলের প্রিয় অভিনেত্রী। কথা হচ্ছে বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) ‘ফাইটার’ অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা এবং তাঁর প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীকে (Aindrila Sharma & Sabyasachi Chowdhury) নিয়ে। যেভাবে ঐন্দ্রিলা দাঁতে দাঁত চেপে মরণ রোগের সাথে লড়াই করেছিলেন আর সেসময় সর্বক্ষণ সব্যসাচী তাঁকে যেভাবে আগলে রেখেছিলেন তা দেখে সকলেই অস্ফুটে বারবার বলে উঠেছিলেন ‘শেষটা এমন না হলেও পারতো!’
মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী পেলেন মরণোত্তর বিশেষ কৃতী সম্মান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। জানা গিয়েছে এই দিনের অনুষ্ঠানে মোট সেজে ৬৬ জনকে এই সম্মান জানানো হয়েছে। শিল্পীদের অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আজীবন এবং মরণোত্তর স্বীকৃতি। সেই তালিকাতেই ছিল ‘জিয়নকাঠি’ অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার নাম।
বহরমপুরের মেয়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচিত এক মুখ। অভিনয় জীবনকে অসম্পূর্ণ রেখেই তিনি চির বিদায় জানিয়েছেন ভক্তদের। ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলার খুব অল্প বয়সেই তার শরীরে বাসা বেধে ছিল মারন রোগ ক্যান্সার পরপর দুবার সেই লড়াইয়ে জিতেও ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু শেষ রখা হয়নি। গত বছর আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ শ্বাশুড়ীরা জব্দ শ্বাশুড়ীদের কাছেই! রইল বাংলা সিরিয়ালের মিষ্টি ঠাম্মিদের তালিকা
এরপর দাঁতে দাঁত চেপে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু অগণিত ভক্ত পরিবার পরিজন, এবং অবশ্যই বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী সবার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে তারাদের দেশেই চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তবে এসবের মধ্যেই বরাবরই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন পর্দার বামাক্ষ্যাপা অভিনেতা সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার চিরসবুজ ভালোবাসার গল্প।
আরও পড়ুনঃ সূর্য-দীপা থেকে জগদ্ধাত্রী, টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে বিজয়ী হল কারা? রইল সম্পূর্ণ তালিকা
এদিন ঐন্দ্রিলার মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপ্তিতে এই সময় ডিজিটালে মুখ খুলে ছিলেন সব্যসাচী। অভিনেতার কথায় ‘২৫ বছর সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ও চলে গেল। এর মধ্যেও,ও যে কটা কাজ করেছে তাতে ওকে মানুষ মনে রেখেছে। একজন শিল্পী হিসেবে এটা বিরাট প্রাপ্তি। ওর বাবা-মা এসেছিলেন এটা তাদের কাছে একদিকে যেমন কষ্টের মুহূর্ত তেমন গর্বেরও বটে।’