Chandrayaan-3 Landing ISRO Bengali Scientists : বুধবার সন্ধ্যা ঠিক ৬:০৪ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। সেই সঙ্গেই ইতিহাস গড়েছে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-২’র ব্যর্থতার পর দিন রাত এক করে চন্দ্রযান-৩’র কাজে লেগে পড়েছিলেন তাঁরা। গতকাল তাঁদের সাড়ে তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হল। প্রায় এক হাজার ইঞ্জিনিয়ার এবং গবেষকদের পরিশ্রম এবং মেধা রয়েছে চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যের পিছনে। বাংলা থেকেও ৭ বিজ্ঞানী (Bengali Scientists) ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন এই মিশনের সঙ্গে। চলুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের নাম পরিচয়।
জয়ন্ত পাল (Jayanta Paul ISRO)- ছেলেকে প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে পড়ানোর মতো সামর্থ্য ছিল না জয়ন্তর মা-বাবার। অপরদিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে দারুণ রেজাল্ট করা সত্ত্বেও র্যাগিংয়ের ভরে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে পারেননি তিনি। বারাসাত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে গণিত নিয়ে পড়াশোনা করেন জয়ন্ত। এরপর খড়গপুর আইআইটি থেকে এমএসসি এবং পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন। বাংলার এই ছেলে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সঙ্গে জড়িত। ল্যান্ডার বিক্রমের গতিবেগ কখন কেমন হবে তা দেখার দায়িত্ব রয়েছে জয়ন্তর কাঁধে।
বিজয় দাই (Bijoy Kumar Dai ISRO)- চন্দ্রযান-৩ মিশনের অংশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বিজয়ও। যাদবপুর থেকে তিনি এম-টেক করেছিলেন। বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা বিজয় চন্দ্রযান-২ ‘র ব্যর্থতায় বেশ প্রভাবিত হয়েছিলেন। আজ ছেলের এই সাফল্যে তাই ভীষণ খুশি বিজয়ের মা-বাবা।
কৃশানু নন্দী (Krishanu Nandi ISRO)- বাঁকুড়ার কৃষক পরিবারের ছেলে কৃশানু। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়েছেন। কখনও ছাত্র পড়িয়ে, কখনও আবার মেধাবৃত্তির টাকা দিয়ে ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতেন কৃশানুর দিদি। ভাইয়ের সাফল্যে আজ ভীষণ খুশি তিনি। কৃশানুর দিদি বলেন, এই দিনটার জন্যই আমরা সবাই অপেক্ষা করছিলাম।
আরও পড়ুনঃ রথী-মহারথীরাও হার মানে! ছবি তে থাকা বেলুনের সঠিক দাম বলতে পারলে আপনি জিনিয়াস
সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Soumyajit Chatterjee ISRO)- চন্দ্রযান-৩ অপারেশনের ডিরেক্টর পদে আসীন রয়েছেন বাংলার বীরভূমের ছেলে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছেলের সাফল্যে ভীষণ খুশি তাঁর বাবা-মা। সৌম্যজিতের মা-বাবা বলেন, ‘জীবন সার্থক হল মনে হচ্ছে’।
তুষারকান্তি দাস (Tushar Kanti Das ISRO)- মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বড়ুয়া কলোনির বাসিন্দা ইসরোর বিজ্ঞানী তুষারকান্তি দাস। গতকাল চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছুঁতেই তাঁর বাড়ির সামনে বাজি ফাটানো শুরু হয়ে যায়। তুষারকান্তির দাদা এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে ভাইয়ের সাফল্যে নিজের খুশি জাহির করেছেন।
পীযূষকান্তি পট্টনায়ক (Piyush Kanti Pattanayak ISRO)- পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পীযূষকান্তি পট্টনায়কও চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যের সঙ্গে জড়িত। চন্দ্রযান-৩’র তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রয়েছে বাংলার এই বিজ্ঞানীর কাঁধে।
অনুজ নন্দী (Anuj Nandi ISRO)- চন্দ্রযান-৩’র হাত ধরে গতকাল ভারত যে ইতিহাস গড়েছে, তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বাঙালি বিজ্ঞানী অনুজ। উত্তর দিনাজপুরের গোটা ইসলামপুর তাঁর এই সাফল্যে ভীষণ খুশি।
ছেলের সাফল্যে অনুজের মা শোভারানী নন্দী বলেন, ‘ছেলের পরিশ্রম সফল হবে জানতাম’। অপরদিকে অনুজের ভাইপো অরিত্র বলেন, ‘জেঠুর সাফল্য গোটা দেশকে গর্বিত করেছে। আমিও জেঠুর মতো হওয়ার চেষ্টা করবো’।