জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত চর্চিত বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। সিরিয়াল মানেই বাস্তবের আয়না। টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত এমনই বেশ কয়েকটি সিরিয়ালে সমাজের রূঢ় বাস্তব রূপটাই তুলে ধরা হয় গল্পের আঙ্গিকে। যা দেখে সত্যিটা অনেকে সহজেই স্বীকার করে নিলেও কেউ কেউ আবার তা দেখে বিরক্ত হন। যার ফলে অপছন্দের সিরিয়াল দেখলেই রিমোটের সুইচ টিপে মুহূর্তের মধ্যে অন্য চ্যানেলের সিরিয়াল দেখতে শুরু করেন দর্শক।
তাই এই সিরিয়ালটি নিয়ে দর্শকমহলে দ্বিমতও রয়েছে। তাই একদল যেমন মনে করেন এই সিরিয়ালের মধ্য দিয়ে একেবারে সত্যি ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তেমনি আবার কারও কারও বক্তব্য ধারাবাহিকে একটু বেশিই নেগেটিভিটি দেখানো হচ্ছে, যার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। তবে শিমুল আর তার শ্বাশুড়ির এই কূটকচালির মধ্যেই ইদানিং দর্শকদের অনেক বেশি নজর কাড়ছে শিমুলের ‘হাবলি’ ননদ পুতুলের চরিত্রটি।
পুতুলের চরিত্রে অভিনয় কতটা চ্যালেঞ্জিং?
পর্দায় এই স্পেশাল চাইল্ড পুতুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য (Sreetama Bhattacharjee)। অল্প দিনেই এই চরিত্রে তাঁর নিখুঁত অভিনয় দারুন প্রশংসা পেয়েছে দর্শকমহলে। তবে পর্দায় পুতুলের মতো একজন স্পেশাল চাইল্ডের চরিত্র ফুটিয়ে তোলা ঠিক কতটা চ্যালেঞ্জিং? এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই সম্প্রতি এইসময় ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল খোদ অভিনেত্রীর সাথে।
আরও পড়ুনঃ TRP তালিকায় অসময়ে কালবৈশাখী! হেভিওয়েট টলিউড নায়িকাকে নিয়ে নতুন সিরিয়াল আনছেন লীনা গাঙ্গুলী
জবাবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা সত্যিই তাঁর জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রীতমার কথায় একজন লেখক যখন চরিত্রটা লেখেন তখন সেই চরিত্রে যে অভিনয় করছে তার কথা ভেবেই লেখেন। তাই যে লিখছে আর যে এই চরিত্রে অভিনয় করছেন বিষয়টা তাঁদের দুজনের ক্ষেত্রেই বিষয়টা চ্যালেঞ্জের। শ্রীতমার কথায় ‘সাধারণ মানুষের কাছে একজন স্পেশাল চাইল্ডের ভূমিকায় অভিনয় করতে গেলে সেই চরিত্র টার মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত করে দিতে হয়’।
আরও পড়ুনঃ এতদিনে DNA টেস্ট করে সামনে আসবে সব সত্যি! টিভির আগেই ফাঁস ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ধামাকা পর্ব
এছাড়া এদিন অভিনেত্রী জানিয়েছেন ‘আমি যখন ক্যামেরার সামনে শট দিতে যাই, তখন চোখের সামনে আমার মাসির ছেলের মুখ ভেসে ওঠে। ও একজন স্পেশাল চাইল্ড। বাড়িতে আমি ওকে দেখি যে কী ভাবে কথা বলছে। কী চাইছে। কী ভাবে নিজের কথাগুলো সকলের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। আমিও ঠিক সেভাবেই নিজের সেরাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করি। আর সেটা যখন দর্শকের ভালো লাগে তখন একজন শিল্পী হিসাবে আমার কাছে নিঃসন্দেহে একটা বড় পাওনা’।