When Dharmendra Booked whole Hospital for Hema Malini : বলিউডের (Bollywood) ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী (Hema Malini) যখন ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra) বিয়ে করেছিলেন সেই সময় তাঁকে কম কটু কথা শুনতে হয়নি। ‘ঘর ভাঙানি’ মহিলার তকমা পর্যন্ত জুটেছিল অভিনেত্রীর কপালে। চার সন্তানের বাবাকে কীভাবে বিয়ে করলেন তিনি? উঠেছিল এই প্রশ্নও। তবে এত কিছুর পরেও ধর্মেন্দ্র এবং হেমা একে অপরের হাত ছাড়েননি। আজ দেখতে দেখতে একসঙ্গে প্রায় ৪৩ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
গোপন বিয়ে থেকে সিক্রেট প্রেগন্যান্সি
১৯৮০ সালে ছিমছামভাবে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন হেমা এবং ধর্মেন্দ্র। হাইপ্রোফাইল দুই তারকার বিয়ে হলেও কোনও জাঁকজমক ছিল না। বিয়ের এক বছরের মাথাতেই হেমার কোল আলো করে আসে মেয়ে এষা। অনেকেই জানেন না, বিয়ের মতো প্রেগন্যান্সির (Pregnancy) খবরটাও দুনিয়ার থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন হেমা এবং ধর্মেন্দ্র। আর সেই জন্য ধর্মেন্দ্র এমন এক কাজ করেছিলেন যা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও।
গর্ভবতী হেমার জন্য গোটা হাসপাতাল বুক করেন ধর্মেন্দ্র, তারপর?
পরিবার-পরিজন এবং কাছের বন্ধুবান্ধব ছাড়া হেমার প্রেগন্যান্সির খবর আর কেউ জানতো না। তারকাজুটি স্বেচ্ছায় এই খবর সবার থেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, গর্ভবতী হেমা যাতে হাসপাতালে (Hospital) স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে, সেই জন্য গোটা ১০০ রুমের হাসপাতাল বুক করেছিলেন ‘শোলে’ অভিনেতা। বেশ কয়েক বছর আগে ‘জিনা ইসিকা নাম হ্যায়’ শো-য়ে এসে একথা ফাঁস করেছিলেন হেমার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নীলু কোহলি।
ধর্মেন্দ্রর এই কাণ্ড শুনে হেমার প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
ধর্মেন্দ্রর গোটা হাসপাতাল বুক করার কথা ফাঁস করে নীলু বলেন, ‘এষার জন্মের সময় কেউ জানতো না হেমা গর্ভবতী। সেই জন্য ধরমজি গোটা হাসপাতাল বুক করেছিলেন। প্রায় ১০০ রুমের একটি নার্সিংহোম ছিল সেটা। আর প্রত্যেকটি রুম তিনি এষার জন্য বুক করে রেখেছিলেন’। বান্ধবীর কথা শোনার পর হেমা জানান, সত্যিই তাঁর গর্ভাবস্থায় এই কাজ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। পাশাপাশি এও জানা যায়, গর্ভবতী হেমার জন্য এটা একটা সারপ্রাইজ ছিল। ধর্মেন্দ্র যে এমনটা করেছেন সেই বিষয়ে কারোর কোনও ধারণাই ছিল না।
আরও পড়ুনঃ কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছিলেন! প্রসেনজিতের পায়ের কাছে বসে কি করেছিলেন ঋতুপর্ণা?
অনেকেই জানেন না, হেমার প্রথম প্রেগন্যান্সির সময় তাঁর সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে এসেছিলেন ধর্মেন্দ্রর মা। শাশুড়ির সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার বিষয়ে অভিনেত্রী নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘ধরমজির মা সতওয়ান্ত কৌর ভীষণ ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমার মনে আছে এষাকে কনসিভ করার পর জুহুর একটি ডাবিং স্টুডিওয় আমার সঙ্গে উনি দেখা করতে এসেছিলেন। বাড়িতে কাউকে না জানিয়েই উনি আমার কাছে এসেছিলেন। আমি ওনাকে প্রণাম করার পর উনি আমায় জড়িয়ে ধরে শুধু বলেছিলেন, ‘সব সময় সুখে থেকো সোনা’। ওনারা আমায় পেয়ে খুশি এটা ভেবেই আমি আনন্দে ছিলাম’।