All you need to know about R.D Burman Asha Bhosle Love Story: ভারতীয় সঙ্গীত দুনিয়ার ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে গণ্য করা হতো আর ডি বর্মণ (R D Burman) এবং আশা ভোঁসলেকে (Asha Bhosle)। স্বামী বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, অপরদিকে স্ত্রী নামী গায়িকা। গানের সুরে সুরেই দু’জনে লিখেছিলেন নিজেদের ভালোবাসার গল্প (Love Story)। সেই গল্পের কাছে হার মানে যে কোনও বলিউড সিনেমা।
শোনা যায়, বলিউডের ‘পঞ্চমদা’ আদ্যোপান্ত রোম্যান্টিক মানুষ ছিলেন। বেশ অনেকটা সময় আশা ভোঁসলের সঙ্গে প্রেম করার পর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দুজনে। তাঁদের লাভ স্টোরি যদি শোনেন তাহলে মনে হবে যেন কোনও হিন্দি সিনেমার গল্প শুনছেন। একবার এক সাক্ষাৎকারে স্বামীর ‘দুষ্টুমি’র গল্প শুনেছিলেন গায়িকা।
অন্ধকারের মধ্যেই অ্যাফ্রো উইগ পরে একবার আশাকে ভয় দেখিয়েছিলেন পঞ্চমদা। প্রত্যেকের নকল করে মজা করতেন সঙ্গীত পরিচালক। এমনকি প্রিয়তমা আশাও ছাড় পেতেন না। গায়িকার কথায়, ‘উনি (আর ডি বর্মণ) বহু বছর ধরে পরিচয় গোপন করে আমায় ফুল পাঠাতেন। একবার মজরুহ সাহেব (মজরুহ সুলতানপুরি) ও পঞ্চমের সামনেই আমার জন্য গোলাপের একটি তোড়া এসেছিল’।
আশার সংযোজন, ‘আমি তো বলে দিয়েছিলাম, ওগুলো ফেলে দাও। কোনও এক বোকা আমায় এভাবে গোলাপ পাঠিয়ে সেগুলো নষ্ট করে’। একথা শুনেই নাকি সামনে উপস্থিত আর ডি বর্মণের মুখ কালো হয়ে গিয়েছিল। তখন মজরুহ সাহেব হেসে উঠে বলেছিলেন, ‘এই বোকাই তোমায় গোলাপ ফুল পাঠায়’।
আরও পড়ুনঃ বাঙালি গায়কের প্রেমে পড়েই শেষ কেরিয়ার! বলিউড থেকে হারিয়ে কেমন আছেন মীনাক্ষী শেষাদ্রি?
শোনা যায়, গানের সূত্রেই মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল আর ডি বর্মণ এবং আশার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দু’জনে গান শুনতেন। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি পাশ্চাত্য সঙ্গীতও শুনতেন দু’জনে। সকাল ৯:৩০ থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত একটানা গান শুনতেন এই দুই কিংবদন্তি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে প্রথম স্ত্রী রিতা পটেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আর ডি বর্মণের। ডিভোর্সের ৯ বছর পর, ১৯৮০ সালে আশাকে বিয়ে করেন তিনি। সেই সময় তো বটেই, আজও দু’জনের জুটি সঙ্গীতপ্রেমী মানুষদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়।