‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিক সমাজের অদ্ভুত গল্প তুলে ধরেছে দর্শকদের সামনে।। যেখানে সম্পর্কে দিদি বোন হয়েও একজন নিজের প্রাণ দিতেও রাজি তো অন্যজন ছোট বোনের সমস্ত সুখ নিজের করে উঠতে মরিয়া। গল্পে ময়ূরী চরিত্রে অভিনয় করছিলেন শ্বেতা মিশ্র (Sweta Mishra) ও মেঘ চরিত্রে ছিলেন তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das)। নায়ক হিসেবে ছিলেন মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় (Mainak Banerjee) তবে গল্পে দুই বনের কাহিনী ছিল আসল।
আর পাঁচটা সিরিয়ালের মত টিআরপির উপর জনপ্রিয়তা নির্ভর করেনি ইচ্ছে পুতুলের। সেরা দশের মাঝে কখনো ছিল বা কখনো ছিটকেও করেছে কিন্তু প্রতিদিন মেঘ ময়ূরীর কাহিনী দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতেন সকলে। দেখতে দেখতে শেষ বেলায় উপস্থিত হয়েছে ধারাবাহিকটি। আজ হঠাৎ ১০ই মার্চ হবে শেষ সম্প্রচার। অনেকেই ভেবেছিলেন মেঘ কিংবা ময়ূরী কোন একজনের মৃত্যু দিয়েছে হিসাবে কাহিনী। শেষ মুহূর্তে যেটা হল সেটা দর্শকদের চোখে জল আনলে বটে কিন্তু মনটাও খুশি করে দিল।
শুরু থেকেই দেখা গিয়েছিল ময়ূরী মা মেয়েকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল দিদিকে রক্ত দেওয়ার জন্যই তার জন্ম। এটা মেনেও নিয়েছিল মেঘ। একসময় জীবনে প্রেম আসে সেটা বিয়েতেও পরিণত হয়। কিন্তু মেঘের বর অর্থাৎ নীলকে নিজের করে পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে রাজি ময়ূরী। দুজনের মাঝে অবিশ্বাসের বীজ বুনে বিচ্ছেদ করানো থেকে মেঘকে চিরতরে শেষ করার চেষ্টাও করেছে সে। কিন্তু নিয়তির লিখন যে বদলানোর নয়। তাই সব বাধা অতিক্রম করে আবারও এক হয়ছে মেঘ নীল।
আরও পড়ুনঃ শতদ্রুকে নয় এক্স স্বামী পরাগের জন্য শিবরাত্রি করছে শিমুল! আগাম পর্ব ফাঁস হতেই ক্ষুদ্ধ দর্শকেরা
দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সময় মেঘকে গুলি করতে মারতে চায় ময়ূরী, ব্যর্থ হয় জেলেও যায়। কিন্তু আবারও অসুস্থ হওয়ায় দিদিকে বাঁচাতে নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে হাসপাতালে এসে রক্ত দেয় মেঘ। এতে সে নিজেও মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। শ্বাশুড়ির অনেক চেষ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠে মেঘ, এদিকে ময়ূরীও কিছুটা সুস্থ হয়। হাসপাতালের বিছানায় বসেই নিজের সমস্ত কুকর্ম আর বোনের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কথা ভাবতে শুরু করে ময়ূরী। শেষমেশ হিংসা, শয়তানি ছেড়ে ভালো হওয়ার পথ বেছে নেয় সে।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে হাসপাতালে মেঘের সাথে দেখা করতে। সেখানে গিয়ে ময়ূরী নিয়েই বলে আমি যা যা করেছি তারপর কেন সমস্ত কেস তুলে নিলি তারপর? উত্তরে মেঘ জানায়, আমি মনে করি যা যা করেছিস তার জন্য তুই মন থেকেই রিগ্রেট করিস। আর যে মন থেকে শুধরে গেছে তার জন্য জেল খানার দরকার পড়ে না। এরপর ময়ূরী জানায় সে অনেক দূরে চলে যাবে নিজের ছায়াও পড়তে দেবে না মেঘের ওপর। তখন মেঘ জানায়, যাস না। আমাদের দুজনের শরীরেই যে একই রক্ত, আলাদা হয় কি করে? এই বলে একেঅপরকে জড়িয়ে ধরে মেঘ-ময়ূরী।
আরও পড়ুনঃ পোয়াতি হতেই পর্ণার যত্নে ব্যতিব্যস্ত বাবুউউ’র মা! ফাঁস ‘নিম ফুলের মধু’র চোখ জোড়ানো পর্ব
এরপর গল্প এগিয়ে গিয়েছে ২ বছর। দেখা যায় মেঘের এক মেয়ে হয়েছে। তাকেই নিয়েই কাটে ময়ূরীর দিন। তিক্ত সম্পর্ক দিয়ে শুরু এক গল্পের এমন একটা মন ছুঁয়ে যাওয়া শেষ হতে দেখে চোখে জল এসেছে দর্শকদেরও। এখন অপেক্ষা শেষ সম্প্রচারের আর কি নতুন চমক অপেক্ষা করে রয়েছে।