‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) সিরিয়ালে এখন পুতুলের বিয়ের ট্র্যাক চলছে। তীর্থঙ্করের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছে সে। তবে তার আগেই সামনে এল ধারাবাহিকের মোড়ঘোরানো টুইস্ট! যা শোনার পর কার্যত মাথায় হাত দেওয়ার জোগাড় হয়েছে দর্শকদের।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গিয়েছে, পুতুল-তীর্থঙ্করের বিয়ের কথা শিমুলকে (Shimul) জানিয়েছে সুচরিতা। সেকথা শোনার পর ভীষণ খুশি হয় সে। এরপর মধুবালার ডাকে পুতুলের সঙ্গে দেখা করতে যেতেও রাজি হয়ে যায়। বিপাশা এবং শতদ্রু শিমুলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। তবে শিমুল বলে, পুতুল (Putul) ওই বাড়িতে তাকে প্রচুর সাহায্য করেছে। তাই সে দেখা করতে যাবে।
বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে এসে শিমুল দেখে পুতুল সোফার ওপর শুয়ে আছে। এতদিন পর শিমুলকে দেখে প্রথমে সে একটু অভিমান করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তার সেই অভিমান গলে জল হয়ে যায়। এরপর শিমুল জানায়, সে এই বাড়ি থেকে নিজের কিছু জিনিস নিয়ে চলে যাবে। শিমুল চিরকালের মতো বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছে শুনে ভেতর ভেতর কষ্ট পায় পরাগ (Parag)।
আরও পড়ুনঃ শতদ্রু নয়, কুলাঙ্গার স্বামীর কাছেই ছুটল শিমুল! আগাম পর্ব ফাঁস হতেই ‘বেঈমান’ তকমা দিল নেটপাড়া
এরপর পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে শিমুল নিজের জিনিস আনতে যায়। পুতুল তখন তাকে নিজের বিয়ের কথা বলে। শিমুল সেটা শুনে খুব খুশি হয়। কিন্তু পুতুল তাকে বাড়ি ছেড়ে যেতে বারণ করলে শিমুল আপত্তি করে। এরপর দু’জন নীচে নেমে আসে। শিমুল মধুবালাকে তার জিনিস দেখে নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু মধুবালা (Madhubala) বলে তাকে আর লজ্জা না দিতে। এরপর শিমুল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে গেলে বাধা দেয় পরাগ।
শিমুলের কাছে আরও একটা সুযোগ চায় সে। কিন্তু শিমুল মুখের ওপর বলে দেয়, সে আর এখানে থাকতে চায় না। সেই সঙ্গে এও বলে, এই দুনিয়ায় আরও অনেক মেয়ে আছে। একথা শোনার পর ভীষণ কষ্ট পায় পরাগ। চুপচাপ এক জায়গায় গিয়ে বসে পড়ে। পরের দিন সকালে পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে তীর্থঙ্করের বাড়ি যায় মধুবালা, শিমুল আর বিপাশা। তাদের দেখে ঠেস দিয়ে নানান কথা বলতে থাকে তীর্থঙ্করের (Tirthankar) বৌদি।
আরও পড়ুনঃ মিশকা ইরা দুই বোন! আসল পরিচয় জানতেই মাথায় বাজ সূর্যর, ফাঁস তোলপাড় করা পর্ব
তাদের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তীর্থঙ্করের বৌদি বলে তারা শুয়ে ছিলেন। একথা শোনার পর অবাক হয়ে যায় শিমুল আর বিপাশা। এখানেই না থেমে তিনি আরও বলে, আমি জানি না তীর্থঙ্কর কেন এই বিয়ের জন্য রাজি হল। তার কি পুতুলকে পছন্দ হয়নি? এই প্রশ্ন করা হলে তীর্থঙ্করের বৌদি জানায় তেমন কোনও ব্যাপার নয়। পাশাপাশি এও বলেন, তিনি এবং তীর্থঙ্কর একসময় কলেজের বন্ধু ছিলেন। একথা শোনার পর শিমুল-বিপাশার মনে একটু খটকা লাগে। তাহলে কি সত্যিই তীর্থঙ্কর এবং তার বৌদির মধ্যে আলাদা সম্পর্ক রয়েছে?