প্রত্যেক বছর শীত (Winter) পড়লেই মানুষের মন উড়ু উড়ু করতে শুরু দেয়। বছরের এই সময়টা যেন কিছুতেই কাজে মন বসতে চায় না। একটু হইহুল্লোড় করে, ঘুরতে গিয়ে কাটাতে চান কমবেশি প্রত্যেক মানুষ। পাশাপাশি এই শীতের মরসুমে বহু মানুষ পিকনিকও (Picnic) করেন। কাছের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বনভোজনে মেতে ওঠেন অনেকে।
আজকের প্রতিবেদনে পিকনিকের (Picnic Spot) জন্য এমনই একটি আদর্শ জায়গার হদিশ নিয়ে এসেছি আমরা। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে একটা দিন প্রকৃতির কোলে পিকনিক করে কাটাতে চাইলে আপনি চলে যেতেই পারেন এখানে। শান্ত-শীতল আবহাওয়ায় নাচ-গান, হইহুল্লোড় করে কাটিয়ে দিতে পারবেন গোটা একটা দিন। কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত এই স্থানের নাম হল ‘মিন্টু পার্ক’ (Mintu Park)।
বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়ার ইছামতী নদীর ধারে একটি নির্জন স্থানে গড়ে উঠেছে এই মিন্টু পাক। এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। এই পার্কের একদম পাশেই আছে একটি বিরাট জলাশয়। ইচ্ছা হলে সেখানে বোটিং করতে পারবেন আপনি।
আরও পড়ুনঃ একবার গেলে ভুলবেন দীঘা-পুরী! রইল কলকাতার কাছে ৫টি সেরা উইকেন্ড ডেস্টিনেশনের হদিশ
এই মিন্টু পার্ক প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের জন্যেও একেবারে আদর্শ। এই পার্কের পাশেই রয়েছে রঙ-বেরঙের ফুলের একটি বাগান। যা দেখলে চোখ এবং মন দুই-ই জুড়িয়ে যায়। এছাড়া জলাশয়ের মধ্যেই রয়েছে একটি ঝরনার অবয়ব। এক কথায়, আট থেকে আশি- সবার বিনোদনের রসদ রয়েছে এই পার্কে।
শহুরে কংক্রিটের জঙ্গলে সারাটা বছর কাটানোর পর বহু মানুষের মধ্যে একটা একঘেয়েমি চলে আসে। সেই একঘেয়েমির অনুভূতি দূর করতে অনেকেই ছুটে যান প্রকৃতির কোলে। সবুজে ঘেরা মিন্টু পার্ক এমনই একটি জায়গা। চারিদিকে নানান রকমের গাছ, পাখিদের কিচিরমিচির ডাক- নিমেষের মধ্যে মন ভালো করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাতে চান? রইল প্রেম করার মতো ৫টি দুর্দান্ত জায়গার হদিশ
কীভাবে যাবেন?
সব তো জানা গেল, এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মিন্টু পার্কে কীভাবে যেতে হবে। এখানে যেতে হলে আপনাকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরতে হবে। নামতে হবে চাঁপাপুকুর স্টেশনে। সেখান থেকে অটো কিংবা টোটো করে ২০ মিনিট গেলেই পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে।